এমন জনপ্রতিনিধি যদি বাংলাদেশে হতো..

৭ টোকিওর একটি স্টেশনে সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে চিরকুট দিচ্ছেন স্থানীয় সাংসদ
৭ টোকিওর একটি স্টেশনে সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে চিরকুট দিচ্ছেন স্থানীয় সাংসদ

১ সেপ্টেম্বর। সকাল ৮টা ৩০ মিনিট। অফিসের পথে ট্রেন থেকে নামছি। দেখি সিঁড়ির মুখে স্থানীয় এমপি হাসিমুখে সবার সামনে একটা চিরকুট বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কেউ নিচ্ছেন, কেউ নিচ্ছেন না। সৌজন্য বিনিময়ও করছেন না কেউ। ওই এমপি যে চিরকুট বাড়িয়ে দিচ্ছেন সেই চিরকুটে লেখা: আমার করণীয় বিষয়ে আমাকে পরামর্শ দিন।
এ দৃশ্য দেখে আমার দেশের কথা মনে পড়ে গেল। হায়! আমাদের দেশের সাংসদরা সংসদ অধিবেশন, সভা, ঘুমানো আর বাথরুমে যাওয়া ছাড়া বেশির ভাগ সময় তার নিজস্ব কিছু লোকজনে পরিবেষ্টিত থাকেন। আর তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সালাম দিয়ে গদগদ না হলে পরিবেষ্টিত লোকজনের হাতে হেনস্তা হওয়ার বা ধোলাই খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল।
জাপানে মেট্রো স্টেশনে প্রায়ই এমপিদের চিরকুট বা লিফলেট বিলি করতে দেখি। তারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় একেক দিন একেক স্টেশনে সকালে বা সন্ধ্যায় দাঁড়িয়ে চিরকুট বা লিফলেট বিলি করেন। এ ছাড়া তারা নির্দিষ্ট দিনে তাদের কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে জনগণের কথা শোনেন বা মতবিনিময় করেন।
এ রকম দৃশ্য বাংলাদেশে কখনো দেখার স্বপ্ন দেখি না। তবে ভাবার চেষ্টা করি।