চূড়ান্ত অনুমোদন পেল বে অর্থনৈতিক অঞ্চল

জুতা ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বে তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের চূড়ান্ত লাইসেন্স পেয়েছে। এখন তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিয়োগকারীদের জমি ইজারা দিতে পারবে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও করেছে তারা।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) গতকাল সোমবার তাদের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বে অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেয়। এ নিয়ে চারটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হলো।
বে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গাজীপুরে আপাতত ৩৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর আয়তন ৬৫ একর পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনা আছে প্রতিষ্ঠানটির। অনুষ্ঠানে বে গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা ইতিমধ্যে ১০৪ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছেন। এর মধ্যে চীনের মাল্টিটেক ইন্টারন্যাশনাল খেলনা তৈরিতে ইতিমধ্যে কারখানা নির্মাণ শুরু করেছে। এ কারখানায় আগামী জুনে উৎপাদন শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বে গ্রুপের চেয়ারম্যান শামসুর রহমানের হাতে চূড়ান্ত লাইসেন্স তুলে দেন। তিনি বলেন, বেজা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ৭৬টির স্থান চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে ২৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এর মাধ্যমে একটি ‘ল্যান্ড ব্যাংক’ তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, মিরসরাই একটি আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে যাচ্ছে। সেখানে জমি ইজারা দেওয়ার আবেদন নেওয়া হচ্ছে।
বে গ্রুপের চেয়ারম্যান শামসুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল শিল্পায়নে বড় ভূমিকা রাখবে। এটা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জমি পাওয়ার ঝামেলা থেকে রক্ষা করবে। তিনি জানান, কয়েক বছর আগে জেনারেল শু নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে জমির জন্য টাকা জমা দিয়ে দুই বছর পরও পায়নি। পরে তারা ভিয়েতনামে চলে যায়। সেখানে এখন তাদের কারখানায় ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
বে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান বলেন, আগামী কয়েক বছরে তাঁরা প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ আনতে কাজ করছেন। তাঁরা মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভেতরে চামড়াজাত পণ্য তৈরির জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চান।
লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী সদস্য এম এমদাদুল হক। এ ছাড়া সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য হরি প্রসাদ পাল ও সচিব মোহাম্মদ আইয়ুব উপস্থিত ছিলেন।