আইএমএফের পরামর্শে রাজস্বনীতি করা হচ্ছে

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রাজস্বনীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এ কারণেই মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের হার বাড়ানো হচ্ছে, আর কমানো হচ্ছে আমদানি শুল্ক ও ভর্তুকি। অথচ দেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে, তা ঠেকাতে পারলেই এনবিআরকে ভ্যাট খাতের আয় নিয়ে চিন্তা করতে হতো না।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ‘নতুন ভ্যাট আইন গরিবের ওপর কশাঘাত: আগামী বাজেটে কালোটাকা ও অর্থ পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপের ঘোষণা চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ইক্যুইটিবিডিসহ ২৫টি অধিকারভিত্তিক নাগরিক সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বেসরকারি সংস্থা কোস্টের উপপরিচালক আহসানুল করিম এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বক্তব্য দেন ইক্যুইটিবিডির প্রধান সঞ্চালক রেজাউল করিম চৌধুরী, ডেভেলপমেন্ট সিনার্জি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মনোয়ার মোস্তফা প্রমুখ।
প্রবন্ধে বলা হয়, নতুন ভ্যাট আইনের ফলে গরিব ভোক্তা শ্রেণিকেও সমান কর দিতে হবে। সরকারের দরকার ছিল কৌশলী হওয়া এবং কর ন্যায্যতা নিশ্চিত করা। অর্থাৎ ধনীদের কাছ থেকে বেশি কর আদায় করা এবং সাধারণ ও গরিবের কল্যাণে তা ব্যয় করা। কিন্তু সরকার তা না করে আইএমএফের পরামর্শ মেনে কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ভর্তুকি কমালে কৃষিসহ শিল্পের উৎপাদন খরচ বাড়বে এবং এর ফলে ভোগ্য ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে। এতে বিদেশি পণ্যের আধিপত্য বাড়বে এবং হুমকির মুখে পড়বে দেশীয় শিল্পের অস্তিত্ব। এ ছাড়া রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় একধরনের দুর্নীতি এবং আর্থিক অনিয়মকে উৎসাহিত করার প্রয়াস সৃষ্টি করা হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, বিদেশিদের চাপে ভর্তুকি না কমিয়ে সরকার বরং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর মাধ্যমে ঘাটতি সমন্বয় করতে পারে।