জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ৫.৫৭%

গত জুলাই মাসে মাসওয়ারিভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যা আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কম। গত জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

আজ বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য দেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির তথ্য হালনাগাদ করে থাকে।

মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক পণ্যের দাম কমেছে। মে মাসে সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি টন ৭১৪ মার্কিন ডলার। জুন মাসে তা কমে দাঁড়ায় ৭০৫ ডলার। আবার মে মাসে চিনির দাম প্রতি টন ৩৪৬ ডলার; জুন মাসে ৩০৩ ডলার। তবে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। মে মাসে চালের টনের দাম ছিল ৪০৩ ডলার, জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪৫ ডলার। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের দাম আরও কমবে বলে তিনি মনে করেন।

মূল্যস্ফীতি গণনায় চালের দামই মুখ্য, তাহলে মূল্যস্ফীতি কমল কীভাবে?—এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে চালের দাম বাড়ে। গ্রামে চালের দাম বাড়ে না। গ্রামের মানুষ ১০ টাকায় চালও পায়।

বিবিএসের তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত-উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত জুলাই মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে এ হার ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।