ট্রাম্পের বক্তৃতা বর্জনের অপেক্ষায় আফ্রিকানরা

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তৃতা বর্জন ও প্রত্যাখ্যানের প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। সুইজারল্যান্ডের পার্বত্য শহর দাভোসে ডব্লিউইএফের এই সম্মেলনের শেষ দিনে আজ শুক্রবার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন ট্রাম্প।
বিশেষ করে সম্মেলনে যোগ দেওয়া আফ্রিকানরাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশি ফুঁসছেন। চলতি মাসের গোড়ার দিকে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অভিবাসন বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প একাদিক্রমে আফ্রিকার দেশগুলোকে ‘শিটহোলস’ বা জঘন্য বলে মন্তব্য করেন। ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া সিনেটর ডিক ডারবিনসহ অন্যরা পরে ট্রাম্পের মন্তব্যটি ফাঁস করে দেন। এতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওপর ভীষণ খেপে আছেন আফ্রিকানরা।
দাভোসে ট্রাম্পের বক্তব্য বর্জনের বিষয়টি প্রথম সামনে নিয়ে আসেন বিজনেস লিডারশিপ সাউথ আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বোন্যাং মোহালে। তিনি এক খোলা চিঠিতে তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করেন। তবে ডব্লিউইএফের সম্মেলনে অংশ নেওয়া কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, ট্রাম্পের বক্তব্য পুরোপুরি বর্জনের চেয়ে বরং তিনি যখন কথা বলতে শুরু করবেন, তখন বেরিয়ে আসাটাই হবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আফ্রিকানরা আশা করছে ট্রাম্প তাঁর ওই বক্তব্যের জন্য দাভোসে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইবেন।
দাভোসে গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া ডব্লিউইএফের চার দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনে এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী পাওলো জেনতিলোনির মতো বিশ্বের প্রভাবশালী নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি এখন একটি সংকটজনক ব্যবস্থা।
এদিকে ডব্লিউইএফের সম্মেলনে যোগ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার দাভোসে গিয়ে পৌঁছেছেন। আফ্রিকানদের বর্জনের মধ্যেও অবশ্য বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ডব্লিউইএফের সম্মেলনে বিশ্ববাসীর জন্য কী বার্তা দেন, সেটি শুনতেও বিশ্বনেতাদের অনেকেই অপেক্ষায় আছেন। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি