সাত মাস পর কিছুটা নাগালে পেঁয়াজ

পেঁয়াজ। ফাইল ছবি
পেঁয়াজ। ফাইল ছবি
>
  • রসুন ও নতুন আসা গ্রীষ্মের সবজির দরও কমেছে।
  • কিছুটা বেড়েছে চিনি, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দর।
  • দেশে পেঁয়াজের দাম গত আগস্ট থেকে বাড়তে থাকে।
  • নভেম্বরে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

রসুন ও নতুন আসা গ্রীষ্মের সবজির দরও কমেছে। তবে কিছুটা বেড়েছে চিনি, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দর।

দেশে পেঁয়াজের দাম গত বছরের আগস্ট থেকে বাড়তে থাকে। নভেম্বরে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে প্রতি পাঁচ কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। একই বাজারের খুচরা দোকানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর অন্যান্য বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত বছর এ সময়ে এক কেজি পেঁয়াজ ছিল ২০–২৬ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আলতাব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। পাশাপাশি দেশেও নতুন মৌসুমের হালি পেঁয়াজ (বীজ থেকে উৎপাদিত) বাজারে আসতে শুরু করেছে। এতেই দর কমতির দিকে। তিনি বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের দরই বেশি কমেছে।

দেশে বছরে প্রায় ১৮ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। আমদানি হয় ৮ থেকে ১০ লাখ টন, যার সিংহভাগ আসে ভারত থেকে। ভারতের পত্রিকাগুলোর খবর অনুযায়ী, দেশটির পাইকারি বাজারে এখন পেঁয়াজের দর কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৯ রুপি।

রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় ও দেশি নতুন রসুন ৫০-৬০ টাকায়। বাজারে গ্রীষ্মের নতুন সবজির দামও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি করলা ও উচ্ছের দাম ছিল ১০০ টাকার বেশি, এখন দাম কমে এসেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। চিচিঙ্গার দর কমে ৫০ টাকায় এসেছে। তবে ঝিঙে ১০০ টাকা। শীতের সবজির কেজিপ্রতি দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা।

তিন সপ্তাহে বাজারে চিনির দর কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দর কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম প্রতি ডজনে বেড়েছে ৫ টাকা। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। এক ডজন হাঁসের ডিম পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকায়।