প্রবাসী আয় বেড়েছে

ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আসা বেড়েছে দেশে। গত মার্চ মাসে প্রবাসীরা বৈধ পথে ১৩০ কোটি ডলার আয় পাঠিয়েছেন, যা ২০১৭ সালের মার্চের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। গত বছরের মার্চে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসেছিল ১৩৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। আর ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রবাসী আয়-সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রবাসীরা ১ ডলার পাঠালে বাংলাদেশে থাকা তাঁদের আত্মীয়রা এখন ব্যাংক থেকে পাচ্ছেন ৮৩ টাকা, আগে যা ছিল ৮০ টাকার নিচে। এ কারণেই প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে আয় পাঠাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। এ ছাড়া দেশে ডলার সংকটের কারণে এক্সচেঞ্জ হাউসের কর্মকর্তারাও এখন আগের চেয়ে বেশি ডলার সংগ্রহ করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা ১ হাজার ৭৬ কোটি ১২ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯১৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। সেই হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের নয় মাসে প্রবাসী আয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১১৬ কোটি ডলার। নভেম্বরে ১২১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১১৬ কোটি ২৭ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, আগস্টে ১৪১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং অর্থবছরের শুরুর মাস জুলাইয়ে ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে ডলারের সংকট চলছে, এতে বিনিময়মূল্যও বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে ব্যাংকে পাওয়া যেত সর্বোচ্চ ৮০ টাকা, বর্তমানে তা ৮৩ টাকার বেশি। এ কারণে ব্যাংকের মাধ্যমে ডলার আসা বেড়ে গেছে। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে অবৈধভাবে যেসব আয় আসছিল, তা-ওকিছুটা কমেছে।