কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি এখন হয়ে গেছে আয়হীন কর্মসংস্থান: সিপিডি

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে চলতি অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা শেষে আগামী অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: প্রথম আলো
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে চলতি অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা শেষে আগামী অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: প্রথম আলো

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশে আয়হীন কর্মসংস্থান হচ্ছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) উচ্চতর প্রবৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ হলেও কর্মসংস্থান আরও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আগে ছিল কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি, এখন হয়ে গেছে আয়হীন কর্মসংস্থান।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে চলতি অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা শেষে আগামী অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে সুপারিশ করতে গিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু ফলাফল যা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হয় দেশে আয়হীন কর্মসংস্থান বাড়ছে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির তুলনায় তিন বছর ধরে একই জায়গায় আটকে আছে। মুদ্রানীতিতে ঋণের লক্ষ্য মাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ছাড়িয়ে হয়ে গেছে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ। তিনি প্রশ্ন করেন, এত টাকা গেল কোথায়?

আয়হীন কর্মসংস্থানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পুঁজিপণ্য আমদানিও বাড়ছে। ব্যাংকের টাকা যাচ্ছে। কিন্তু ব্যক্তি বিনিয়োগ তেমন দেখা যাচ্ছে না। এটা কেমন ধরনের কথা। আগামী বাজেটকে সামনে রেখে সংযত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা বজায় রাখার পরামর্শ দেন তিনি। প্রবৃদ্ধির হার, আয়ের হার, কর্মসংস্থানের হার এবং উৎপাদনের পরিমাণ বাড়লেও এগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য আছে কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন। যদি সামঞ্জস্য না থাকে, তাহলে চিন্তার বিষয় বলে মনে করেন দেবপ্রিয়।

প্রতিবছরের এই সময়ে ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে স্বাধীন পর্যালোচনা (আইআরবিডি)’ শীর্ষক এই পর্যালোচনা করে থাকে সিপিডি। এবারের আইআরবিডি দলের সমন্বয়ক হচ্ছেন সিপিডির গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। পর্যালোচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক দিকটি তুলে ধরেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ও গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।