পোশাক রপ্তানিতে আয় আরও বেড়েছে

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ২ হাজার ৮১২ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। ১০ মাস শেষে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

এদিকে পোশাক খাতের ওপর ভর দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৩ হাজার ৩৭২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৩ হাজার ১৬২ কোটি ২৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। ওই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ৪৪ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৩৭২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, পোশাক ছাড়াও পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়নি।

শুধু মে মাসে ৩৩২ কোটি ২৪ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের মে মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৩০৪ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে গত মে মাসে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

চলতি অর্থবছর ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে তৈরি পোশাকে ৩ হাজার ১৬ কোটি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৩৮ কোটি, পাট ও পাটজাত পণ্যে ১০৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা আছে।

চলতি অর্থবছর রপ্তানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গত ৩১ মে সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘পোশাক কারখানায় প্রচুর ক্রয়াদেশ আছে। আশা করছি, ৩ হাজার কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’

এ ছাড়া চলতি অর্থবছর পণ্য ও সেবা খাত মিলে ৪ হাজার ১৫০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।