স্থিতাবস্থা ধরে রাখার বাজেট: সানেম

বাংলাদেশের অর্থনীতির ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা শীর্ষক আলোচনায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সানেম। ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশের অর্থনীতির ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা শীর্ষক আলোচনায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সানেম। ছবি: প্রথম আলো

প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটকে স্থিতাবস্থা ধরে রাখার বাজেট হিসেবে অভিহিত করেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)। গবেষণা সংস্থাটি বলেছে, সামনে নির্বাচন, তাই প্রথম দিকে অতিরিক্ত খরচ করার প্রবণতা দেখা দেবে। বড় প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান করার চেষ্টা থাকবে। এ জন্য অর্থের অপচয় হচ্ছে কি না, সে ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। ।

রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশের অর্থনীতির ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা শীর্ষক আলোচনায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান এসব মন্তব্য করেন।

সেলিম রায়হান বলেন, বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে লেনদেন ভারসাম্যের উন্নতি করা, ব্যাংক খাতের দুরবস্থা দূর করা, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

অনুষ্ঠানের সানেমের গবেষণা পরিচালক সায়েমা হক বিদিশা, গবেষক নাজমুল অভি হোসেন, ইফফাত আঞ্জুম ও জোবায়ের হোসেন বাজেটের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে প্রতিক্রিয়া জানান।

নতুন বাজেটের আকার হচ্ছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট ছিল। বাস্তবায়ন ব্যর্থতায় অর্থমন্ত্রী মাঝপথে সংশোধন করে এই আকার করেন ৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। বাস্তবায়ন অদক্ষতায় আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার শেষ পর্যন্ত চার লাখ কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে।

আগামী বাজেটের মোট টাকার মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও ঋণের শোধ দিতেই খরচ হবে ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে বেতন-ভাতা বাবদ খরচ ৬০ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। আর সুদ পরিশোধে খরচ হবে ৫১ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে এই দুই খাতেই খরচ হবে বাজেটের ২৫ শতাংশ।