পাঁচ দফা দাবিতে ভারতের পেট্রাপোলে ধর্মঘট

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘট থাকায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরে পুড়ে যাওয়া ভারতীয় ট্রাকের ক্ষতিপূরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট মেইনটেন্যান্স কমিটি। এ কারণে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সমাবেশ ডেকে আজ সকাল থেকে এই লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এ সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ ধর্মঘট চলছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম গতকাল বিকেল চারটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে আজ সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। আমরা বৈঠকে বসেছি। আশা করছি, আলোচনায় একটা সমাধান হয়ে যাবে।’

পেট্রাপোল বন্দরের ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট মেইনটেন্যান্স কমিটি যে দাবিগুলো উত্থাপন করেছে, সেগুলো হলো—
১. ৩ জুন সকালে বেনাপোল বন্দরে অগ্নিকাণ্ডে যে সাতটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ক্ষতিপূরণসহ অবিলম্বে ট্রাক ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
২. বন্দরে যেসব ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে, সেগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করে পুনরায় ফেরত পাঠাতে হবে।
৩. বেনাপোল বন্দরে ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করার সময় পণ্য চুরি হলে তার দায়িত্ব ভারতীয় চালক বহন করবেন না।
৪. বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালি করার খরচ চালক বহন করবেন না।
৫. বেনাপোল বন্দরে পার্কিং ও পণ্য গুদামে সিসি ক্যামেরা এবং চালকের জন্য শৌচাগার ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

বেনাপোল বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকে আবারও আগুন

২২ দিনের ব্যবধানে বেনাপোল স্থলবন্দরে রাসায়নিক পণ্যবাহী ভারতীয় একটি ট্রাকে আবারও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের বাইপাস সড়কে গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ও বন্দরের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও পণ্য পুড়ে গেছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, ভারতীয় নম্বরের একটি ট্রাকে পণ্য নিয়ে চালক রাতে বেনাপোল বন্দরের টার্মিনালে প্রবেশ করেন। এ সময় হঠাৎ ট্রাকে আগুন ধরে যায়। আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয় এসে নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের খবর দেওয়া হলে তাঁরা প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। তবে এর মধ্যেই ট্রাকে থাকা আমদানি পণ্য পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।