রবির সাত কর্মকর্তার উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ

রবির ডিজিটাল উদ্যোক্তা ‘আর-ভেঞ্চারস’ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ৮ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত
রবির ডিজিটাল উদ্যোক্তা ‘আর-ভেঞ্চারস’ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ৮ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত

মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটার সাত কর্মকর্তা উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। অপারেটরটির উদ্ভাবনী ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরির কার্যক্রম ‘আর-ভেঞ্চারস’-এর মাধ্যমে তাঁরা এ সুযোগ পাবেন। এ জন্য একেকজন উদ্যোক্তাকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থসহায়তা দেবে রবি। এ ছাড়া ব্যবস্থাপনাগত পরামর্শ ও অনুপ্রেরণাও পাবেন তাঁরা।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আর-ভেঞ্চারস প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচিত রবির সাত উদ্যোক্তা কর্মকর্তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচিত সাত কর্মকর্তা হলেন রবির ডিজিটাল সার্ভিস ম্যানেজার মোহাম্মাদ আবদুল হাদি ভূঁইয়া, ইনফরমেশন টেকনোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আশিক নূন, এন্টারপ্রাইজ প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ মোহছিযুল হক, মার্কেট অপারেশনসের জেনারেল ম্যানেজার শাকিল ফারহান মিঠুন, মার্কেট অপারেশনসের ম্যানেজার হাসিবুল করিম, মার্কেট অপারেশনসের স্পেশালিস্ট রিয়াসাত চৌধুরী ও নেটওয়ার্ক অ্যাসুরেন্সের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমান।

আগামী ১২ মাস উদ্যোক্তারা তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণাগুলো নিয়ে বাজারে আসার জন্য কাজ করে যাবেন। এই সাত কর্মকর্তা এখন থেকে আগামী ১২ মাস নিয়মিত রবি থেকে বেতন ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ সময় রবিতে তাঁদের নির্দিষ্ট দায়িত্বও পালন করতে হবে না। সফলতার সঙ্গে এই এক বছর শেষ করার পর তাঁরা তাঁদের ব্যবসা পরিচালনা শুরু করবেন। এসব কোম্পানিতে রবিরও আংশিক মালিকানা থাকবে। পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট ব্যবসায়িক ধারণা টেকসই হলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাত থেকে অর্থায়নের আগ্রহকে স্বাগত জানাবে রবি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির। এ সময় রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদসহ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি এমন কোনো কোম্পানি দেখিনি যারা নিজেদের কর্মীদের উদ্যোক্তা হওয়ার পথ তৈরি করে দিচ্ছে। আমি নিজে যখন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য লড়াই করছিলাম, তখন যদি রবির মতো একটি কোম্পানিকে পাশে পেতাম, তাহলে অনেক সহজ হতো। রবির এমন মহতী উদ্যোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে।’

প্রাথমিকভাবে ২১২টি ব্যবসায়িক ধারণা জমা দিয়েছিলেন রবির কর্মকর্তারা। কয়েক ধাপের প্রক্রিয়া শেষে দ্বিতীয় পর্বের জন্য ৫০টি ধারণা বাছাই করা হয়। ৫০টি থেকে সেমিফাইনাল পর্বে যায় ১৫টি ধারণা। এরপর চূড়ান্তভাবে ছয়টি ধারণা বাছাই করা হয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়নের জন্য এখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা।

রবি এমডি ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রবি একটি কাঠামোবদ্ধ কোম্পানি। কিন্তু এ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন বাজারের চাহিদা বুঝে নতুন উদ্যোক্তা, যাঁরা নিজেদের মতো করে ব্যবসার ধারাটি তৈরি করে নিতে পারবেন। তাই আমরা আর-ভেঞ্চারস প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছি, যাতে যাঁরা আমাদের চেয়ে উপযুক্ত, তাঁরা যেন ডিজিটাল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পান।’