মোটা চালের দাম বেড়েছে, কমেছে চিকন ও মাঝারির

চালের ছবিটি প্রতীকী।
চালের ছবিটি প্রতীকী।

আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর পর রাজধানীর বাজারে মোটা চালের দাম বেড়েছে। তবে নতুন বোরো মৌসুমের চালের সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সরু ও মাঝারি চালের দাম।

বাজারের খুচরা দোকানে এখন প্রতি কেজি গুটি ও স্বর্ণা জাতের চাল ৪৩-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা মাস দুয়েক আগে ছিল ৩৮-৪২ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর পর ভারত থেকে চাল আমদানি কমে গেছে। দেশটি থেকে সাধারণত মোটা চালই বেশি আমদানি হয়ে থাকে। শুল্ক বাড়ানোয় মোটা চালের বাজারেই বেশি প্রভাব পড়েছে।

কারওয়ান বাজারের ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের বিক্রেতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরু মিনিকেট চাল এখন কেজিপ্রতি ৫২-৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েক মাস আগে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ৫৫-৫৬ টাকা কেজির মাঝারি মানের চাল ৪৫-৪৬ টাকায় নেমেছে। তিনি বলেন, বোরো মৌসুমের চাল পুরোদমে বাজারে আসার পরই এসব চালের দাম কমেছে। কিন্তু বাজেটে শুল্ক বাড়ানোর পর মোটা চালের দাম বেড়েছে।

উল্লেখ্য, ধানের দাম কমে যাওয়ায় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে পণ্যটি আমদানিতে মোট কর ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করা হয়। গত বছর আমদানি বাড়াতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছিল।

বাজারে গত এক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। ডিমের দাম আগে থেকেই কিছুটা বাড়তি। এখনো ফার্মের মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ৯৫-১০০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি পেঁয়াজের দামও ঊর্ধ্বমুখী। বাছাই করা দেশি পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা, সাধারণ দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কমেছে রসুনের দর। প্রতি কেজি চীনা রসুন ৬০ টাকায় নেমেছে, যা ঈদের আগে ১১০ টাকা ছিল।

সবজির দামে বিশেষ কোনো হেরফের নেই। কিছুটা বাড়তি আলুর দাম, প্রতি কেজি ৩০ টাকা এখন। কাঁচা মরিচের দর কিছুটা কমে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে মিলছে খুচরা দোকানে। মাংসের বাজারে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম, যা ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় মিলছে।