প্রিপেমেন্ট মিটার পাবেন ২ লাখ গ্রাহক

রাজধানীর ডেসকো এলাকায় স্মার্ট প্রিপেমেন্ট মিটার বসবে। ২০২০ সালের মধ্যে রাজধানীর দুই লাখ গ্রাহক এই ধরনের মিটার পাবেন। এতে বিদ্যুতের অপব্যবহার (সিস্টেম লস) কমাবে। এ জন্য ১৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ডেসকো এলাকায় স্মার্ট প্রিপেমেন্ট মিটার সরবরাহ ও স্থাপন প্রকল্প পাস হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

বিদ্যুৎ বিভাগের ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) প্রকল্পটি ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে। যেসব এলাকায় প্রিপেমেন্ট মিটার বসবে সেগুলো হলো—মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, কাফরুল, শাহ আলী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, বারিধারা, বাড্ডা, উত্তরা, উত্তরখান ও দক্ষিণখান এবং গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানা। এই প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ হাজার সিঙ্গেল ফেজ ও ২০ হাজার থ্রি-ফেজ স্মার্ট প্রিপেমেন্ট মিটার দেওয়া হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রিপেমেন্ট মিটার বসলে সিস্টেম লস কমে যাবে। মিটারের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসে মাসে টাকা কিস্তিতে কেটে রাখা হবে।

আজকের একনেক সভায় প্রকল্পটিসহ মোট ১১টি প্রকল্প পাস হয়। এতে মোট খরচ হবে ৬ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৬ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ৮ কোটি টাকা।

একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো ৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের নিমিত্তে ভূমি অধিগ্রহণ (নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও চট্টগ্রামের মিরসরাই) ; ১১৭ কোটি টাকার বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের আওতায় ৫টি বেসিক সেন্টারে ৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ১ টি ফ্যাশন ইনস্টিটিউট এবং ২টি মার্কেট প্রমোশন কেন্দ্র স্থাপন; ১৭৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার রংপুরের পীরগঞ্জে ড. এম ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন; ২৯৭ কোটি টাকার সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোটমণি নিবাস নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ; ২৯০ কোটি টাকার সিলেটের হাইটেক পার্কের প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ; ২৯২ কোটি টাকার ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং; ১৬৯ কোটি টাকার সোনাপুর থেকে চেয়ারম্যানঘাট সড়ক উন্নয়ন; ১৪৪ কোটি টাকার বীরগঞ্জ-খানসামা-দাড়োয়ানী, খানসামা-রানীরবন্দর এবং চিরিরবন্দর-আমতলী বাজার জেলা মহাসড়কে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীত করা; ৯৯ কোটি টাকার কুলাউড়া-পৃথ্বিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ ও সাড়ে সাত কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ এবং ১ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকার ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প।