শীর্ষ ব্র্যান্ডের যান বাজারে আনছে এসিআই

এসিআই মোটরস ও ফোটন মোটর গ্রুপের মধ্যে একটি আজ ‘এক্সক্লুসিভ ডিলারশিপ ও লোকাল অ্যাসেমব্লিং’ চুক্তি সই হয়। ছবি: প্রথম আলো
এসিআই মোটরস ও ফোটন মোটর গ্রুপের মধ্যে একটি আজ ‘এক্সক্লুসিভ ডিলারশিপ ও লোকাল অ্যাসেমব্লিং’ চুক্তি সই হয়। ছবি: প্রথম আলো

বিশ্বে বাণিজ্যিক যানবাহনের শীর্ষ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ফোটন মোটর গ্রুপকে বাংলাদেশে আনছে এসিআই মোটরস। প্রতিষ্ঠানটি দেশে ফোটন ব্র্যান্ডের পিকআপ, ডাবল কেবিন পিকআপ, ডাম্প ট্রাক, ট্রানজিট মিক্সচার, বাল্ক সিমেন্ট ক্যারিয়ার ইত্যাদি বাজারজাত করতে চায়।

ফোটন ব্র্যান্ডের যানবাহন দেশের বাজারে বাজারজাত করতে এসিআই মোটরস ও ফোটন মোটর গ্রুপের মধ্যে আজ সোমবার ‘এক্সক্লুসিভ ডিলারশিপ ও লোকাল অ্যাসেমব্লিং’ চুক্তি সই হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এসিআই সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসিআই মোটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এইচ আনসারী ও ফোটন মোটর গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়ার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড লি চুক্তিতে সই করেন।

এতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, ফোটন ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট চ্যাং রুই ও এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব৶ত রঞ্জন দাস উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ফোটন ও এসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফোটন মোটর গ্রুপ বিশ্বের ১ নম্বর বাণিজ্যিক যানবাহন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বছরে তাদের উৎপাদনের পরিমাণ ৮০ লাখ যান।
এফ এইচ আনসারী বলেন, আগামী নভেম্বরে ফোটন ব্র্যান্ডের যানবাহন বাজারজাত শুরু হবে। কৃষি যন্ত্রের মতো এসব গাড়ির ক্ষেত্রেও ডাকা বা জানানোর ৬ ঘণ্টার মধ্যে বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করবে এসিআই। পাশাপাশি আসল যন্ত্রাংশও সরবরাহ করবে তারা।

সুব্রত রঞ্জন দাস বলেন, ফোটন ব্র্যান্ডের যানবাহনে চালকদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন থাকবে। এ ছাড়া ঘুমানোর ভালো ব্যবস্থা থাকবে। ফলে চালকদের ক্লান্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে হবে না, যা দুর্ঘটনা রোধে ভূমিকা রাখবে।

ফোটন ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট চ্যাং রুই ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এসিআইয়ের সঙ্গে যানবাহন সংযোজনের কারখানা প্রতিষ্ঠার কথা জানান। তিনি বলেন, চীনে শ্রমের ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশে তা অনেক কম। এ কারণে আগামী দিনগুলোতে বিশ্বের বড় বড় উৎপাদকদের নজর থাকবে বাংলাদেশের দিকে। এক সময় এ দেশে গাড়ি উৎপাদনের কারখানা হতে পারে।