ফেলনা প্লাস্টিক 'ফেলনা' নয়

>
  • ২০টি কারখানায় অন্তত ৪০০ জন কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
  • প্লাস্টিকগুলো মানভেদে ২০-২৫ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। রপ্তানির জন্য তা ২৫ কেজি করে প্যাকেট করা হয়। এগুলো যায় চীন ও ভারতে।
  • গ্রীষ্মে মানুষ বেশি পানীয় পান করে বলে কাঁচামালের সরবরাহ অনেক বেশি থাকে।

খুলনার খালিশপুর এলাকায় মোংলা কাস্টম হাউস সড়কের বিপরীতে একটি দেয়াল ঘেঁষে স্তূপ করে রাখা আছে প্লাস্টিকের খালি বোতল। পাশের ছোট ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে এমন হাজার হাজার বোতল। পাশাপাশি বিভিন্ন ভাঙাচোরা প্লাস্টিক সামগ্রীর বড় বড় স্তূপ। কয়েকজন নারী-পুরুষ স্তূপের পাশে বসে বোতলের গা থেকে কাগজের লেবেল আলাদা করছেন। এরপর বোতল থেকে ছিপি খুলে আলাদা করে রাখছেন। একেক রঙের বোতল রাখা হচ্ছে একেক বস্তায়।

কথা হয় নার্গিস আক্তার নামের একজন কর্মীর সঙ্গে। তাঁর কাজ পণ্যের শ্রেণি ও মান অনুযায়ী আলাদা করা। নার্গিস জানান, তিনি মাসিক ৬ হাজার টাকা মজুরিতে প্লাস্টিক বাছাইয়ের কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে আরও কাজ করছেন ফারজানা, শাহানা, লিলিসহ মোট ১৪ জন কর্মী। একেকজনের কাজের ধরন ও বেতন একেক রকম।

খুলনা শহরে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতল এবং অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ করা ও প্রক্রিয়াকরণের ২০টি কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল কেটে ছোট ছোট টুকরা করা হয়। পরে তা বিদেশে রপ্তানি হয়। আর অন্যান্য ফেলনা প্লাস্টিক গুঁড়া করা হয়, যা দেশের ভেতরেই রিসাইক্লিং বা পুনরুৎপাদন শিল্পের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।

উদ্যোক্তারা জানান, তিন-চার বছর আগেও খুলনায় প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণের চার-পাঁচটি কারখানা ছিল। এখন ২০টি কারখানায় অন্তত ৪০০ জন কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে।