মৌসুমের শেষে দাম কমছে পেঁয়াজের

মৌসুমের শেষ দিকে এসে পেঁয়াজের দাম কমেছে। বাজারে এক কেজি ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। এক মাস আগের তুলনায় পেঁয়াজের দাম এখন কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা কম।

পেঁয়াজের পাশাপাশি রাজধানীর বাজারে ডিম, চিনি ও খোলা ভোজ্যতেলের (সয়াবিন) দামও কমেছে। এ সপ্তাহে বাজারে অন্য কোনো পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়েনি বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।

তেজগাঁও শিল্প এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি সাধারণ মানের ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। এক কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা চাওয়া হচ্ছিল। সবজি ও পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. মহসিন বলেন, পেঁয়াজের দাম বেশ কমেছে।

আগামী ডিসেম্বর মাসে দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করবে। তাই বছরের এ সময়ে সাধারণত পেঁয়াজের দাম বেশি থাকে। টিসিবি বলছে, গত বছর এই সময়ে দেশি পেঁয়াজ ২৫ শতাংশ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ শতাংশ বাড়তি দামে কিনতে হয়েছিল ক্রেতাদের।

>আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতে থাকায় দেশেও কমেছে চিনির দাম। কিছুটা কমেছে ডিম ও খোলা ভোজ্যতেলের দাম।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো। দামও বেশ কম। এ কারণেই সার্বিকভাবে পেঁয়াজের বাজার পড়তি।

পরিবহনশ্রমিকদের ধর্মঘটে গত সোমবার রাজধানীর বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় উঠেছিল। গতকাল তা কমে ১০০-১০৫ টাকায় নেমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন সমস্যা কেটে যাওয়ায় ডিমের সরবরাহ বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম  কমতে থাকায় দেশেও কমেছে চিনির দাম। কারওয়ান বাজারে এখন ৫০ টাকা কেজিতে চিনি পাওয়া যাচ্ছে। পাড়া-মহল্লার দোকানে দাম ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। টিসিবি বলছে, এ সপ্তাহে চিনির দাম কেজিতে দুই টাকা কমেছে। খোলা সয়াবিন তেলের দামও লিটারে দুই টাকা কমেছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মানভেদে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেশির ভাগ সবজির কেজিপ্রতি দর ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। এ ক্ষেত্রে গত সপ্তাহের চেয়ে বিশেষ কোনো হেরফের হয়নি।