বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম, কমেছে দেশির

বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ঢাকার খুচরা বাজারে ক্রেতাদের ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। অবশ্য এক সপ্তাহ আগের চেয়ে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে পাচ্ছেন ক্রেতারা।

ঢাকার খুচরা বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে কেজিপ্রতি ৪০, ৪৫ ও ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগের চেয়ে ৫ টাকা কম। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি।

অবশ্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত বছরের তুলনায় এখন পেঁয়াজের দাম ২৬ শতাংশ কম।

মূল্যবৃদ্ধির চিত্রটা ধরা পড়ছে পাইকারি বাজারে। গত সপ্তাহে ঢাকার কারওয়ান বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি পাঁচ কেজি ১২০ টাকা ছিল, যা এখন ১৬০ টাকায় উঠেছে। ফলে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮ টাকা। কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দরে এত দিন বেশি পার্থক্য ছিল। এর কারণ ছিল, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম অনেক কম ছিল। মৌসুমের শেষ দিকে সাধারণত এমন হয় না। তিনি বলেন, ভারতে দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন দেশে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়তি। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো। নতুন মৌসুম শুরু হবে ডিসেম্বর মাসে। এতে মজুত করা পেঁয়াজ বাজারে চলে আসছে।

ভারতের দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার শনিবারের এক খবরে বলা হয়, সেখানে ১০ দিনে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দর ৭-১০ রুপির মতো বেড়ে ৪৫-৪৫ রুপিতে উঠেছে। এর কারণ, পেঁয়াজ উৎপাদনকারী মহারাষ্ট্র রাজ্যে বৃষ্টির অভাব ও দিওয়ালি উৎসবের কারণে পাইকারি বাজার বন্ধ থাকা।

ওই প্রতিবেদনে দেশটির ভোক্তা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দেশটিতে নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ উঠবে। এতে সরবরাহ বাড়বে।

ভারতে গত বছরের শেষ দিকেও পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। নিজেদের বাজার সামাল দিতে ২৩ নভেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে বাধা আরোপ করে। ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেওয়া হয় দেশটির পক্ষ থেকে। এরপর বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দর ১৪০ টাকায় উঠেছিল। একই সময় ভারতীয় পেঁয়াজের দর ওঠে কেজিপ্রতি ৯০ টাকা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ১৮ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। এ ছাড়া ৮-১০ লাখ টন আমদানি হয়, যার বেশির ভাগ আসে ভারত থেকে।