ব্র্যাক-শেভরন জীবিকা প্রকল্পের অভিজ্ঞতা-বিনিময়

ব্র্যাক-শেভরনের যৌথ উদ্যোগে জীবিকা প্রকল্পের অভিজ্ঞতা-বিনিময় অনুষ্ঠান হয় রাজধানীর একটি হোটেলে। ছবি: সংগৃহীত
ব্র্যাক-শেভরনের যৌথ উদ্যোগে জীবিকা প্রকল্পের অভিজ্ঞতা-বিনিময় অনুষ্ঠান হয় রাজধানীর একটি হোটেলে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ও করপোরেট সংস্থার অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে হবে। ব্র্যাক-শেভরনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত জীবিকা প্রকল্পের অর্জিত জ্ঞান ভবিষ্যতে অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়নেও সহায়ক হবে। গতকাল সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে জীবিকা প্রকল্পের অভিজ্ঞতা-বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

জীবিকা প্রকল্পটি সিলেট সদর, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় শেভরন পরিচালিত গ্যাসফিল্ডের পাশের এলাকাগুলোর জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৫ সালের অক্টোবরে ব্র্যাকের সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি (আইডিপি) এবং শেভরনের বাংলাদেশ পার্টনারশিপ ইনিশিয়েটিভের (বিপিআই) অধীনে এই প্রকল্প চালু হয়। এই বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের চলতি পর্ব শেষ হবে। গ্যাস ফিল্ড-সংলগ্ন এলাকায় যেসব জনগোষ্ঠী বাস, তাদের নিয়ে তৈরি করা গ্রাম উন্নয়ন সংগঠনকে (ভিডিও) ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে এ সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

মাঠ পর্যায়ে এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত ও ফলপ্রসূ করতে ব্র্যাকের বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে আঞ্চলিক সংস্থা ‘আইডিয়া’। এই প্রকল্পের আওতায় ১১২টি ভিডিওর মাধ্যমে ৩ হাজার ৬৭১টি পরিবারের ২০ হাজার সদস্যের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রার এবং মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল মজিদ, শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নেইল মেনজিস, শেভরন বাংলাদেশের পলিসি, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স-বিষয়ক পরিচালক ইসমাইল চৌধুরী এবং ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ প্রোগ্রামের পরিচালক কে এ এম মোরশেদ। সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক আন্নামিঞ্জ।

প্রধান অতিথি মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের গ্যাসফিল্ড-সংলগ্ন এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ও স্বনামধন্য করপোরেট প্রতিষ্ঠান শেভরনের মধ্যে এই যৌথ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।