সিআইপি কার্ড পেলেন ১৩৭ রপ্তানিকারক

রপ্তানিতে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৩৭ জন রপ্তানিকারককে দেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সিআইপি) মর্যাদা। এর বাইরে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪১ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা। সিআইপিদের হাতে কার্ড তুলে দিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে।  ছবি: প্রথম আলো
রপ্তানিতে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৩৭ জন রপ্তানিকারককে দেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সিআইপি) মর্যাদা। এর বাইরে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪১ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা। সিআইপিদের হাতে কার্ড তুলে দিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে। ছবি: প্রথম আলো

পণ্য রপ্তানিতে অবদান রাখায় ১৩৭ ব্যবসায়ী বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে কার্ড পেয়েছেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪১ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা। দুই ধরনের সিআইপি মিলিয়ে ২০১৬ সালের জন্য মোট ১৭৮ জনের হাতে গতকাল মঙ্গলবার সিআইপি কার্ড তুলে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এই সিআইপি কার্ড দিয়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবন মিলনায়তনে গতকাল বিকেলে সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানটি হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘১৯৭২ সালে মাত্র ৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু। গত অর্থবছর আমাদের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রপ্তানি আয় ৬ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়াবে। ২০৩০ সালে সেটি হবে ১০ হাজার কোটি ডলার। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।’

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাণিজ্যযুক্ত চাই না। কিন্তু চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধে আমরা বেশ উপকৃত হয়েছি। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের রপ্তানি ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।’

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘গ্যাসের চাপ কমে গেলে কী ক্ষতি হয়, সেটি আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনেক কর্তাব্যক্তিই জানেন না। অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেই আমাদের উদ্যোক্তারা ব্যবসা করেন।’ ব্যবসায়ীরা মানসম্মত গ্যাস-বিদ্যুৎ চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআইয়ে নতুন করে মনোনীত পরিচালক না দেওয়ার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘পরিচালকদের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেছে। আমরা বসার জায়গা দিতে পারি না। পূর্বাচলে এফবিসিসিআইকে একটি প্লট দেওয়া হয়েছে। সেখানে ভবন না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে আর মনোনীত পরিচালক দেবেন না।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্যসচিব মফিজুল ইসলাম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য, সিআইপি কার্ড পাওয়া ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম, মনোয়ারা হাকিম আলী।

সিআইপি (রপ্তানি) কার্ডধারী ব্যক্তিরা সচিবালয়ে প্রবেশে বিশেষ পাস, ব্যবসা-সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান; রেল, সড়ক ও নৌপথে সরকারি যানবাহনে সংরক্ষিত আসনে অগ্রাধিকার, বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া তাঁদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। কার্ডের মেয়াদ এক বছর হলেও পরবর্তী সময়ের সিআইপি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এ সুবিধা পাবেন।

যাঁরা সিআইপি কার্ড পেয়েছেন
কাঁচা পাট রপ্তানিতে হাসান আহমেদ, নুরুল ইসলাম ও সেলিম রেজা; পাটপণ্য রপ্তানিতে নাজমুল হক, জাহিদ মিয়া, মুশতাক হোসেন, মাহমুদুল হক, আবুল বাসার খাঁন, ফজলুর রহমান ও শেখ ফারুক হোসেন সিআইপি কার্ড পেয়েছেন।

চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে মোহাম্মদ সায়ফুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন মজুমদার, শেখ মোমিন উদ্দিন ও মোহাম্মদ নাজমুল হাসান; হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিতে মেহেদী হাসান, মো. মুছা মিয়া, সৈয়দ আবু আসফার, এস এম আবুল হোসেন, গাজী দেলোয়ার, মাসুদ পারভেজ, দোদুল কুমার দত্ত, তৌহিদুর রহমান ও হাবিব উল্ল্যাহ খান এবং চা রপ্তানিতে আহমেদ কামরুল ইসলাম সিআইপি কার্ড পেয়েছেন। ওভেন পোশাক রপ্তানিতে আহসান কবির খান, সৈয়দা শারমিন হোসেন, মুজিবুর রহমান, আরশাদ জামাল, মিরান আলী, আজিজুল ইসলাম, মুস্তাজিরুল শোভন ইসলাম, আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা, ওয়াসিম রহমান, আবদুর রাজ্জাক সাত্তার, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, হুমায়ুন রশীদ, শরীফ জহীর, মোতালেব হোসেন, ইতেমাদ উদ দৌলাহ, সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও ইনামুল হক খান সিআইপি কার্ড পেয়েছেন।

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে গোবিন্দ চন্দ্র সাহা, ফারুক আহমেদ, এ এস এম রওশন হাবিব, গকুল চন্দ্র সাহা, মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ও মোহাম্মদ মনসুর এবং কৃষি প্রক্রিয়াকরণ পণ্য রপ্তানিতে ওমর ফারুক, অঞ্জন চৌধুরী ও ইলিয়াস মৃধা সিআইপি কার্ড পেয়েছেন। হালকা প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া; ওষুধ রপ্তানিতে স্যামুয়েল এস চৌধুরী, আব্দুল মুক্তাদির, নাজমুল হাসান; হস্তশিল্প রপ্তানিতে সফিকুল আলম সেলিম, তৌহিদ বিন আবদুস সালাম, বেলাল হোসেন ও আবু আলম চৌধুরী সিআইপি কার্ড পেয়েছেন।

বিশেষায়িত টেক্সটাইল বা হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে মোহাম্মদ মোহসিন, এম শাহাদাত হোসেন ও আব্দুছ ছামাদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিট পোশাক রপ্তানিতে গোলাম মুস্তফা, ফকির আখতারুজ্জামান, গাওহার সিরাজ জামিল, মাসুদুজ্জামান, অহিদুল হক আসলাম সানী, অমল পোদ্দার, মহিউদ্দিন ফারুকী, নাবিল উদ দৌলাহ, নাজীম উদ্দিন আহমেদ, আসাদুল ইসলাম, আসিফ আশরাফ, কামাল উদ্দিন, আব্দুস সোবাহান, রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন, প্রীতি পোদ্দার, মোহাম্মদ আলী তালুকদার, আব্দুল কাদির মোল্লা, মোখলেছুর রহমান, নাজিব মালেক চৌধুরী, রবিন রাজন সাখাওয়াত, এ এস এম কামরুল আহসান, আমির হামজা সরকার, কানিজ ফাতিমা, শফিকুল ইসলাম সরকার, বোরহান উদ্দিন, মোহাম্মদ সালমান, সাফিনা রহমান, রাকিবুল কবির, নুরুল আলম চৌধুরী, ফায়জুর রহমান ভূঞা, ইস্তেখাবুল হামিদ, অঞ্জন শেখর দাশ, শেখ এস এম মোস্তাফিজ, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, খলিলুর রহমান, শাহরিয়ার আহমেদ, এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এ বি এম সামসুদ্দিন, শামীম রেজা, মহিম হাসান ও সুলতানা জাহান সিআইপি কার্ড পেয়েছেন।

সিরামিক পণ্য রপ্তানিতে এস এম ফারুকী হাসান, প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে রথীন্দ্রনাথ পাল ও জসিম উদ্দীন, কাপড় রপ্তানিতে সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, আবদুর রাজ্জাক সাত্তার, শফিকুল ইসলাম সরকার, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জাবের, আব্দুর রাজ্জাক খাঁন এবং তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য রপ্তানিতে এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম সিআইপি কার্ড পেয়েছেন।

এ ছাড়া আব্দুল মমিন মণ্ডল, মোহাম্মদ হাসান ইমাম, কানিজ ফাতেমা জেরিন, শামীম ইসলাম, রানা শফিউল্ল্যহ, আব্দুল আউয়াল, সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ জুবায়ের, মনির হোসেন, নিয়াজ রহিম, আসিফ এ চৌধুরী, বজলুর রহমান, গাজী আবুল হাসেম, মহুয়া দাশ গুপ্তা, আহমেদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, হেলাল মিয়া, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তালহা, নুর-ই ইয়াছমিন ফাতেমা, সালাউদ্দীন আলমগীর, তানভীর খান, কামাল উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ আনিসুর রাজ্জাক, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সিআইপি কার্ড পেয়েছেন।