গেল বছর ভালো যায়নি বিশ্ব পুঁজিবাজার

বছরজুড়ে নেতিবাচক প্রবণতা ছিল বিশ্বের পুঁজিবাজারে। ছবি: রয়টার্স
বছরজুড়ে নেতিবাচক প্রবণতা ছিল বিশ্বের পুঁজিবাজারে। ছবি: রয়টার্স

বিশ্ব পুঁজিবাজারের জন্য বিদায়ী বছরটি খুব একটা স্বস্তিদায়ক ছিল না। এক দশকের মধ্যে ২০১৮ সালে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার। ওয়াল স্ট্রিটের মতো খারাপ অবস্থা না হলেও বছরজুড়ে নেতিবাচক প্রভাব ছিল ইউরোপ ও এশিয়ার পুঁজিবাজারেও। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

বছর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ডাও জোন্স সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৬ পয়েন্ট। এস অ্যান্ড পুওর ৫০০ কমেছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। নাসডাক হারিয়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ দর। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর এমন পতন দেখেনি এই পুঁজিবাজার।

আসলে বছরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের ঝাপটা ও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির শ্লথগতির কারণে নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার। এর মধ্যে দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার সুদের হার বাড়ানোর বিষয়টিও পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এশিয়ার পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে বছর শেষে হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক কমেছে ১৪ শতাংশ। জাপানের নিকেই হারিয়েছে ১৫ শতাংশ দর। এক বছরে চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে ২৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধান সূচক বছর শেষে কমেছে ১২ শতাংশ।