খোলা আকাশের নিচে শিশুদের খেলাধুলার ব্যতিক্রমী আয়োজন
বর্তমানে রাজধানীর শিশুরা মোবাইল গেমস যতটা খেলে, ক্রিকেট-ফুটবল ততটা নয়। এক কথায় দৌড়ানো, সাইকেল চালানো ও ক্রিকেট-ফুটবল খেলার মতো সুষ্ঠু পরিবেশই তারা পাচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে গত এক বছর ধরে ব্যতিক্রমী একটি কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। গত মাস থেকে এর সঙ্গে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত হয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য ব্র্যান্ড সার্ফ এক্সেল।
সার্ফ এক্সেলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কের প্রায় ২০০ মিটার অংশে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই তিন ঘণ্টা সময় শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখানে নিজের মতো খেলাধুলা, শরীরচর্চা, ব্যায়াম, সাইকেল চালানো, আড্ডাসহ নানারকম সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নেন। এখানে আসার জন্য কোনো ধরনের নিবন্ধন বা টিকিট কাটতে হয় না।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামীকাল ৪ জানুয়ারি বরাবরের মতোই এই কর্মসূচির ১৪তম আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ওই দিন স্বাভাবিক কর্মসূচির সঙ্গে ইউনিলিভারের ব্র্যান্ড সার্ফ এক্সেলের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন থাকবে।
এ আয়োজন সম্পর্কে ইউনিলিভার বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর তানজিন ফেরদৌস আলম বলেন, খেলাধুলা শিশুদের অন্যতম প্রধান অধিকার। এই বিশ্বাস থেকে সার্ফ এক্সেল মনে করে, প্রতিভা বিকাশে শিশুদের এই অধিকার রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ খেলার মাধ্যমেই শিশুরা অনেক কিছু শেখে। আর এভাবে শিখতে গেলে কাপড়ে কঠিন দাগ লাগতেই পারে। সেই দাগ দূর করে শিশুদের আবার তাদের জগতে ফিরে যেতে সাহায্য করে সার্ফ এক্সেল।
ডিটিসিএ-এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের এই দিবস পালনের অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়ক মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ মাসে অন্তত একটি দিন গাড়িমুক্ত রাখার ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ওই বছরের নভেম্বরে প্রথম এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার এ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ কর্মসূচিতে গড়ে প্রায় পাঁচ শ লোক সমবেত হচ্ছেন। শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী নির্বিশেষে সব ধরনের মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। বাংলাদেশে নতুন হলেও বিশ্বের অনেক দেশেই এমন ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলছে।