যুক্তরাজ্য থেকে সনির দপ্তর যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসে

ব্রেক্সিটের পর যেসব প্রশাসনিক সমস্যা সৃষ্টি হবে, তা নিরসনে সনি আগেই যুক্তরাজ্য থেকে দপ্তর সরিয়ে নিচ্ছে।
ব্রেক্সিটের পর যেসব প্রশাসনিক সমস্যা সৃষ্টি হবে, তা নিরসনে সনি আগেই যুক্তরাজ্য থেকে দপ্তর সরিয়ে নিচ্ছে।

ব্রেক্সিটের প্রভাব নানাভাবে পড়তে শুরু করেছে। এবার সনি যুক্তরাজ্য থেকে তাদের ইউরোপীয় সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডসে সরিয়ে নিচ্ছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, ব্রেক্সিটের পর যেসব প্রশাসনিক সমস্যা সৃষ্টি হবে, তা নিরসনে তারা আগেই দপ্তর সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিবিসির খবরে এই তথ্য জানা গেছে।

সনি বলেছে, এতে ব্রেক্সিটজনিত শুল্ক সমস্যা এড়ানো সহজ হবে। তবে যুক্তরাজ্য থেকে তারা বিদ্যমান মানবসম্পদ ও পরিচালন কার্যালয় সরিয়ে নেবে না। শুধু সনিই নয়, এর আগে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি নির্মাণকারী কোম্পানি ডাইসন যুক্তরাজ্য থেকে তাদের সদর দপ্তর সিঙ্গাপুরে সরিয়ে নিচ্ছে। যদিও তারা বলেছে, এর সঙ্গে ব্রেক্সিটের সম্পর্ক নেই।

এক বিবৃতিতে সনি বলেছে, ‘যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ার পরও সে দেশে আমাদের ব্যবসা যথারীতি চালাতে পারব। সনিকে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নভিত্তিক করতে চাই, যাতে ব্রেক্সিটের পর ইউরোপের অভিন্ন শুল্ক নিয়ম আমাদের বেলায় প্রযোজ্য হয়। সনির প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানাসনিক ইতিমধ্যে আমস্টারডামে সদর দপ্তর সরিয়ে নিয়েছে। ব্রেক্সিটের কারণে যে করজনিত সমস্যা সৃষ্টি হবে, সে জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে উভয়ই বলেছে, এতে যুক্তরাজ্যে তেমন একটা কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা নেই।

এ ছাড়া বেশ কয়েকটি জাপানি গাড়ি কোম্পানি ব্রেক্সিটের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। টয়োটার উদ্বেগ, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট হলে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে যুক্তরাজ্যে সাময়িকভাবে তাদের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হোন্ডা ইতিমধ্যে এপ্রিলে ছয় দিন উৎপাদন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ব্রেক্সিটের কারণে ‘সীমান্ত ও উপকরণগত যেসব সমস্যা হতে পারে, তা মোকাবিলায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে’।

উল্লেখ্য, নতুন চুক্তি করে ব্রিটেন বেরিয়ে যাবে, নাকি তা ছাড়াই ব্রেক্সিট হবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।