গ্রামীণফোনকে এসএমপি ঘোষণা করেছে বিটিআরসি

মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারী (এসএমপি অপারেটর) হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফলে এখন থেকে বিটিআরসি গ্রামীণফোনের করণীয় ও বর্জনীয় কার্যক্রম ঠিক করে দিতে পারবে।

বিটিআরসি আজ রোববার এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণার বিষয়টি গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়ে জানায়। অবশ্য গ্রামীণফোনের জন্য কী কী নির্দেশনা অপেক্ষা করছে, তা পরবর্তীতে জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিটিআরসির চিঠিতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজারে প্রতিযোগিতা ও শৃঙ্খলা আনতে আমরা গ্রামীণফোনকে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করেছি, যাতে গ্রাহকেরা উপকৃত হন। এ ক্ষেত্রে কোনো তাড়াহুড়া করা হচ্ছে না। কাউকে ক্ষতিগ্রস্তও করা হচ্ছে না। বিধি অনুযায়ী কাজ করছে বিটিআরসি।’

টেলিযোগাযোগ খাতে প্রতিযোগিতা আনতে বিটিআরসি ২০১১ সাল থেকে এসএমপি বিধিমালা নিয়ে কাজ করছিল। কিন্তু তা আর এগোয়নি। বিষয়টি জোর পায় গত বছর। গত নভেম্বরে সংস্থাটি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনে ‘তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা প্রবিধান মালা-২০১৮’ জারি করে। এতেই কোনো মোবাইল অপারেটর গ্রাহকসংখ্যা, রাজস্ব অথবা তরঙ্গ—এ তিন ক্ষেত্রের একটিতে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যাধারী হলে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণার ক্ষমতা দেওয়া হয় বিটিআরসিকে। বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোন গ্রাহকসংখ্যা ও অর্জিত বার্ষিক রাজস্বের দিক দিয়ে ৪০ শতাংশ বাজার হিস্যাধারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল প্রথম আলোকে বলেন, এসএমপি রেগুলেশনের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন আন্তর্জাতিক ও টেলিযোগাযোগ খাতের সর্বোচ্চ মানসম্মত বিষয়গুলো বিবেচিত হবে বলে প্রত্যাশা করে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার মাধ্যমে সবার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।