আয়বৈষম্যের পুরোটা হিসাবে আসে না

প্রথম আলো কার্যালয়ে আজিজুর রহমান খান
প্রথম আলো কার্যালয়ে আজিজুর রহমান খান

বাংলাদেশে আয়বৈষম্য অত্যন্ত বেশি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ আজিজুর রহমান খান, যিনি স্বাধীনতার পর পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেছেন, সরকারি হিসাবেই দেশে বৈষম্য বেড়েছে। তবে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবের মধ্যে বৈষম্যের চিত্র পুরোটা আসে না।

অতিথি হিসেবে এসে প্রথম আলোর কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে আজিজুর রহমান খান এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত তাঁর নতুন বই আমার সমাজতন্ত্র: সমাজতন্ত্রের উত্থান, পতন ও ভবিষ্যৎ লেখার প্রেক্ষাপট, বইয়ের বিভিন্ন বিষয়, বিশ্বজুড়ে সমাজতন্ত্রের অবস্থা, তাঁর নিজস্ব ভাবনা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেন। আলোচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ও প্রাসঙ্গিক নানা বিষয় উঠে আসে।

আজিজুর রহমান খান ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৬ সালে পিএইচডি করেন। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস ও ক্যালিফোর্নিয়া (রিভারসাইড) বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ সময় অধ্যাপনা করেছেন। অর্থনীতি নিয়ে বেশ কিছু বইয়ের রচয়িতা তিনি।

অর্থনীতির নানা বিষয় নিয়ে আলাপকালে আজিজুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। এতে একজন দরিদ্র মানুষের জীবনেও কিছু কিছু উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বৈষম্য অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান বুরে্যার খানা আয়-ব্যয় জরিপে বৈষম্যের চিত্র পুরোপুরি উঠে আসেনি। কারণ গুলশান, বারিধারা, বনানীর মতো অভিজাত এলাকার চিত্র এতে আসে না। পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মীদের পক্ষে ধনীদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নেওয়া সম্ভব হয় না।

আজিজুর রহমান খান বলেন, রাষ্ট্রের পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত কর্মসংস্থান তৈরি। অল্প মজুরি দিয়ে শিল্পায়নের চিন্তা করাটা ভুল। শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বাড়াতেই মজুরি বাড়ানো দরকার।