প্রাণ জাতীয় আচার প্রতিযোগিতার পুরস্কার পেলেন তাঁরা

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা। ছবি: সংগৃহীত
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা। ছবি: সংগৃহীত

১৯তম প্রাণ জাতীয় আচার প্রতিযোগিতা-২০১৮-এর বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। আচার বানিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের নওরীন আহসান জিতে নিয়েছেন দুই লাখ টাকা পুরস্কার। সারা দেশ থেকে ৩ হাজার ৭৯৬ জন প্রতিযোগীর পাঠানো ৭ হাজার ৮৯২টি আচারের আইটেমের মধ্য থেকে ‘বর্ষসেরা আচার’ হিসেবে তাঁর আচার নির্বাচিত হয়েছে।

প্রাণ-আরএফএল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রাণ জাতীয় আচার প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী, প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা ও চ্যানেল আইয়ের নির্বাহী পরিচালক ইসরারুল হকসহ সারা দেশ থেকে আসা প্রতিযোগীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দীপু মনি বলেন, ‘আচার আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। আমাদের নারীরা বহুকাল থেকে বাড়িতে আচার তৈরি করে আসছেন, যা আমাদের খাবারের অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তোলে। কিন্তু আচার তৈরি করে নারীরা সেটাকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে বিবেচনা করতেন না।’ নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিযোগিতাটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রাণ গ্রুপ সব সময় এ দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসলই “প্রাণ”-এর প্রাণ। এ দেশের কৃষকের পণ্য নিয়েই প্রাণ বিশ্ববাজারে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের “প্রাণ” হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রাণ গ্রুপ। নারীদের কাজকে সম্মান জানাতেই আমরা ১৯ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি।’

প্রতিবারের মতো এবারও বর্ষসেরা আচার বিজয়ীর পাশাপাশি টক, ঝাল, মিষ্টি ও অন্যান্য বিভাগ থেকে ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। টক বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে চট্টগ্রামের নূরী মুসাইয়া দাহ, ঢাকার শাবানা ও নারায়ণগঞ্জের আফিয়া আজিজা। মিষ্টি বিভাগে প্রথম হন যশোরের সৈয়দা, দ্বিতীয় হন সৈয়দা আসমা ও তৃতীয় হন ঢাকার রাফেজা রশীদ ও টাঙ্গাইলের ছালমা মালেক। ঝাল বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে বরিশালের আবিদা সুলতানা, ঢাকার শারমিন জামান ও খুলনার মর্জিনা খানম। অন্যান্য বিভাগে প্রথম ঢাকার ফারজানা আফরিন, দ্বিতীয় লায়লা ইয়াসমিন এবং তৃতীয় খুলনার অপরুপা।

প্রতিটি বিভাগের প্রথম স্থান অর্জনকারীকে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় জনকে ওয়াশিং মেশিন এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে মাইক্রোওয়েভ ওভেন পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৩৫ জন পান শুভেচ্ছা পুরস্কার। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাসসারা সুলতানা রত্নার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি বিচারক প্যানেল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ীদের নির্বাচন করেন। এ সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন সংগীতশিল্পী সালমা ও সুরের ধারার শিল্পীগোষ্ঠীসহ অন্যরা।