হোন্ডার সিদ্ধান্তে চিন্তার ভাঁজ যুক্তরাজ্যের কপালে

যুক্তরাজ্যের সুইনডন শহরে নিজেদের গাড়ি তৈরির কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাপানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হোন্ডা। এর ফলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মসংস্থান হারাবে যুক্তরাজ্য। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এর ফলে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।

গত বছর সুইনডনে ১ লাখ ৬০ হাজার হোন্ডা সিভিকস গাড়ি তৈরি হয়। যার ৯০ শতাংশই ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি হয়। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি হোন্ডা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের মুখপাত্র জানান, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানাবে যুক্তরাজ্য। তবে স্থানীয় এমপি জাস্টিন টমলিনসন হোন্ডার মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালে এই কারখানা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

জাস্টিন টমলিনসন বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ কোনো ছাঁটাই বা উৎপাদনের কোনো পরিবর্তনের আশঙ্কা নেই। এক টুইট বার্তায় টমলিনসন বলেন, বৈশ্বিক চাহিদার পরিবর্তনের কারণে হোন্ডা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রেক্সিটের জন্য নয়। চীনের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে গাড়ি শিল্প ভুগছে।

যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন ইউনাইট ইউনিয়ন বলছে, এই তথ্য যদি সঠিক হয় তবে তা হবে ‘শরীরের ঘা খোঁচানোর’ মতো।

সরকারি কর্মকর্তা ডেস কুইনিন বলেন, গত দুই দশক ধরে গাড়ি শিল্প উৎপাদন খাতের অন্যতম অলংকার ছিল। তবে এখন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের কঠোর সিদ্ধান্তের জন্য তৈরি ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তায় এই খাত দুর্বল হয়ে গেছে। কর্মসংস্থান হারানো শ্রমিক ও তাদের পরিবারের ওপর ‘গুরুতর’ প্রভাব পড়ার পাশাপাশি এটি দেশের হাজার হাজার কর্মসংস্থানকেও প্রভাবিত করবে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসচিব লিয়াম ফক্স আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসার আগে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন যে ইউরোপে নতুন ডিজেল নির্গমন আইনের কারণে গাড়ির চাহিদা অনেক কমে গেছে। ভোক্তার চাহিদা কমে যাওয়ার বড় প্রভাব পড়েছে উৎপাদনকারীদের মধ্যে।