সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর ইঙ্গিত

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। ফাইল ছবি
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। আজ শনিবার রাজধানীর পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে ‘জাতীয় সঞ্চয় সপ্তাহ ২০১৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সুদহার সমন্বয় ও সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম খতিয়ে দেখাসহ সার্বিক বিষয়ে কাজ করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশে যদি সুদহার কিছুটা কমানো হয়, তারপরও সেটা ব্যাংকের সুদহার থেকে বেশি থাকবে, যাতে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীরা লাভবান হবেন।’

বর্তমানে সঞ্চয়পত্রগুলোর মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে সুদহার ১১ দশমিক ৫২ , পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশন সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ২৮, তিন বছর মেয়াদি মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক শূন্য ৪ ও তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ বিদ্যমান।

‘সঞ্চয় সমৃদ্ধির সোপান’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এবং গ্রাহকসেবার মান উন্নয়নে আজ থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে জাতীয় সঞ্চয় সপ্তাহ ২০১৯। চলবে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত। এনবিআর চেয়ারম্যান আনুষ্ঠানিকভাবে এই সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।
এ সময় জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শামছুন্নাহার বেগমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন, সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের জন্য কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সঞ্চয় সপ্তাহ উপলক্ষে সকালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সামনে থেকে সঞ্চয় সপ্তাহের বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি জাতীয় প্রেসক্লাব-সচিবালয় হয়ে আবার ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সঞ্চয় সপ্তাহ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, সভা-সেমিনার, ব্যানার-ফেস্টুন, সঞ্চয় স্কিমের হ্যান্ডবিল বিতরণ ও সঞ্চয় উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলবে। তবে সপ্তাহ চলাকালে সঞ্চয় স্কিমে বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই।

সপ্তাহের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ সারা দেশে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিসে সঞ্চয় উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি পেশাজীবীদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে। আর ২৬ ফেব্রুয়ারি কলকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সঞ্চয় উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম। ২৮ ফেব্রুয়ারি উঠান বৈঠক ও ১ মার্চ সপ্তাহব্যাপী সঞ্চয় সপ্তাহের মূল্যায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ মানুষকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে সঞ্চয় স্কিমের নিয়মাবলি–সংক্রান্ত হ্যান্ডবিল বিতরণ করা হবে।