বড় বিনিয়োগ নিয়ে আসছেন সৌদি ব্যবসায়ীরা

সৌদি আরবের বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে ১৬ প্রকল্পে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ পাওয়ার আশা করছে বিডা। ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবের বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে ১৬ প্রকল্পে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ পাওয়ার আশা করছে বিডা। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের একটি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল আজ বুধবার মধ্যরাতে বাংলাদেশে আসছে। তাদের কাছ থেকে ১৬টি প্রকল্পে দড় থেকে দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৌদি আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী মাজেদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি, অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আলতোয়াজরির নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সদস্যরা থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিয়ে সংলাপে বসবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।

কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে যে ১৬টি প্রকল্প নিয়ে কথা চলছে, তার মধ্যে কয়েকটির ক্ষেত্রে চুক্তি সই হবে। কয়েকটির ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সই হবে। কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি তাদেরও আগ্রহের কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে। তিনি বলেন, এসব প্রকল্পে মোট দেড় থেকে দুই হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ আশা করা যায়। তবে পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।

কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, লালমনিরহাটে উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের একটি প্রকল্পের চুক্তি হতে পারে। ফেনীতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে সৌদিরা। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনের একটি কারখানা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি অ্যারাবিয়ান অয়েল (আরামকো) বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার ও তেলভিত্তিক পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে পারে।

গোলাম মসিহ বলেন, ৪৮ বছরে এই প্রথম সৌদি কোনো বড় বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসছে। এর আগে বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ ছিল না। শুধু ৩০ বছর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে শেয়ার নিয়েছিল তারা। এবার বিনিয়োগে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দফা সৌদি আরব সফরের কারণে। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব এত দিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বিনিয়োগ করত। এখন তারা এই অঞ্চলে নজর দিচ্ছে। কারণ, এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রবৃদ্ধি অনেকটা স্থবির। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও উল্লেখ করেন গোলাম মসিহ।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তান সফর করেন। সফরে ভারতে তিনি দুই হাজার কোটি ও পাকিস্তানে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন।