আপাতত বিধিনিষেধমুক্ত গ্রামীণফোন

দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের ওপর দেওয়া চারটি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আজ মঙ্গলবার বিটিআরসি এক চিঠিতে গ্রামীণফোনকে বিষয়টি জানিয়েছে।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি গ্রামীণফোনের ওপর চারটি বিধিনিষেধ জারি করে। বিধিনিষেধগুলো ছিল মাসিক কলড্রপের সীমা ২ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা, দেশজুড়ে কোনো প্রচার বা মার্কেট কমিউনিকেশন না করা , এমএনপির (নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল) ‘লক ইন পিরিয়ড’ ৩০ দিনে কমিয়ে আনা ও অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একক বা স্বতন্ত্র চুক্তি না করা।

বিটিআরসি আগে দেওয়া দুটো চিঠিই বাতিল করেছে, যার ফলে গ্রামীণফোন বিধিনিষেধগুলো থেকে আপাতত মুক্তি পেল। এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের উপ মহাব্যবস্থাপক (বহিঃ যোগাযোগ) মুহাম্মদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রামীণফোন বিটিআরসিকে স্বাগত জানাচ্ছে। গ্রামীণফোন বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করে। সর্বোচ্চ মানের টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আমরা কাজ করে যাব, যেটি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।’

বিটিআরসি গ্রামীণফোনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল তাৎপর্যপূর্ণ বাজারক্ষমতা বা সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) প্রবিধান মালার আওতায়। গত নভেম্বরে এ প্রবিধানমালা জারি করেছিল সংস্থাটি। এতে কোনো মোবাইল অপারেটর গ্রাহকসংখ্যা, রাজস্ব অথবা তরঙ্গ—এ তিন ক্ষেত্রের একটিতে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যাধারী হলে তাকে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণার ক্ষমতা দেওয়া হয় বিটিআরসিকে, যার আওতায় পড়েছিল গ্রামীণফোন।

বিটিআরসি গত ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধর হিসেবে ঘোষণা করে। এর আওতায় বিধিনিষেধ আরোপ করার পর গ্রামীণফোন উচ্চ আদালতে গিয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল, নিয়ম অনুযায়ী এসএমপি ঘোষণার পর আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় দিতে হয়। কিন্তু বিটিআরসি তা দেয়নি।

নতুন চিঠিতে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছে।