পর্যটন মেলায় নানা ছাড়

আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড়। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে।  ছবি: প্রথম আলো
আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড়। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা। ভ্রমণবিষয়ক পাক্ষিক দি বাংলাদেশ মনিটর রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ মেলার আয়োজন করেছে। ‘নভোএয়ার ঢাকা ট্রাভেল মার্ট-২০১৯’ শীর্ষক এবারের আয়োজনটি করা হয়েছে ষোড়শ বারের মতো।

গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ পর্যটন মেলার সহযোগী দেশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে নেপাল। গতকাল মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। মেলা শেষ হবে আগামীকাল শনিবার।

এবারের পর্যটন মেলায় বাংলাদেশ, নেপাল, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার জাতীয় পর্যটন সংস্থাগুলো অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশসহ ৭টি দেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ৫টি প্যাভিলিয়ন ও ৭০টি স্টলে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মেলা চলাকালীন দর্শনার্থীদের জন্য মূল্যছাড়ে বিমান টিকিট, আকর্ষণীয় ট্যুর প্যাকেজসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবা উপস্থাপন করছে।

জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস নির্দিষ্ট কিছু আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান টিকিটে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দিচ্ছে। নভোএয়ার দিচ্ছে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। রিজেন্ট এয়ার ইকোনমি শ্রেণিতে ১২ শতাংশ ও বিজনেস শ্রেণিতে ২০ শতাংশ মূল্যছাড় দিচ্ছে। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস সব অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ১০ শতাংশ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে।

মেলা চলছে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিজনের টিকিট ৩০ টাকা। প্রবেশ কুপনের ওপর মেলার শেষদিন র‍্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা আছে। দেশের প্রত্যেক জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব। দেশের যে সভ্যতা, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পরিবেশ রয়েছে, তার সবই পর্যটনের উপযোগী। সরকারের চেয়ে বেসরকারি খাত পর্যটনের উন্নয়নে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য তিনি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মনিটরের প্রধান সম্পাদক রকিব সিদ্দিকী, বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ধান বাহাদুর অলি, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব কার্ডস মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের সিনিয়র ব্যবস্থাপক দিবাকর বিক্রম রানা।