চীনের সিল্ক রোডে যোগ দিল ইতালি

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুজেপ্পে কনদের সঙ্গে শনিবার রোমে সাক্ষাৎ করেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবি: রয়টার্স
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুজেপ্পে কনদের সঙ্গে শনিবার রোমে সাক্ষাৎ করেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের প্রথম উন্নত দেশ হিসেবে চীনের সিল্ক রোড প্রকল্পে যোগ দিয়েছে ইতালি। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের রোম সফরে দুই দেশের মধ্যে এই লক্ষ্যে ২৮০ কোটি ডলারের ২৯টি চুক্তি সই হয়েছে। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

গতকাল শনিবার রোমে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুজেপ্পে কনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এ সময় দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়।

চুক্তিতে ইতালির পক্ষে স্বাক্ষর করেন ফাইভ স্টার আন্দোলনের নেতা ও দেশটির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী লুইজি ডি মাইয়ো। এর মধ্য দিয়ে ২১ শতকের ইকোনমিক সিল্ক রোড ও মেরিটাইম সিল্ক রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশ করল ইতালি। এ ছাড়া জ্বালানি, অর্থনৈতিক, কৃষিসহ কয়েকটি খাতেও চুক্তি স্বাক্ষর করেন দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা।

চীনের সিল্ক রোড প্রকল্পে যোগ দেওয়া নিয়ে ইতালির পশ্চিমা মিত্ররা উদ্বিগ্ন। তারা আগে থেকেই চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।

নিউ সিল্ক রোড প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাচীন বাণিজ্য পথ ফিরিয়ে আনতে চায় চীন। প্রকল্পের উদ্দেশ্য—স্থল ও নৌপথে চীনকে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করা। প্রকল্পটির অন্য নাম ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই)।

মূল সিল্ক রোডের অস্তিত্ব ছিল আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে। এটা ছিল বাণিজ্যের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ। এই পথ দিয়ে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিনিময় হয়েছে।

চীনের নতুন সিল্ক রোড প্রকল্পও একই কাজ করবে। নতুন ও উন্নততর অবকাঠামো নির্মাণের মধ্য দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি ও চিন্তার প্রসার হবে। ফলে সবারই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। বিশ্বের নতুন নতুন অবকাঠামোতে চীনা বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশটির পণ্যের আরও গতিশীল বাজার তৈরি হবে।

তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই প্রকল্পের ফলে চীনের ভূরাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাব বাড়বে।

ইতিমধ্যে চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন বন্দর ও শহর সংযুক্ত করার জন্য ট্রেন, সড়ক ও বন্দর নির্মাণে তহবিল দিয়েছে। চীনা ব্যাংকগুলো এই অর্থায়ন করছে।

অবকাঠামোগত উন্নয়নে আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যে পরিমাণ চীনা ঋণ নিয়েছে, তা পশ্চিমা দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।