বাণিজ্যযুদ্ধের কোন পথে ট্রাম্প-সি চিন পিং?

বাণিজ্যযুদ্ধের একটি সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ছবি: রয়টার্স
বাণিজ্যযুদ্ধের একটি সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ছবি: রয়টার্স

বাণিজ্যযুদ্ধের শেষ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এ লক্ষ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চীন যাচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মুখোমুখি আলোচনায় একটা সমাধানে পৌঁছাতে চাইছেন তাঁরা। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে বলে গতকাল রোববার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সফর শেষে আরও আলোচনার লক্ষ্যে চীনা কর্মকর্তা ওয়াশিংটন যাবেন। আগামী মাসের শুরুতে ওই সফর হওয়ার কথা রয়েছে।

এক বছর আগেও নিজেদের মধ্যে শুল্ক, পাল্টা শুল্ক আরোপের যুদ্ধে মেতেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে গত ডিসেম্বরে নিজেদের মধ্যে কিছুদিনের জন্য শুল্কবাণ ছোড়াছুড়ি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলন শেষে রাজধানী বুয়েনস এইরেসে এক বৈঠকে বসে ১ জানুয়ারি থেকে তিন মাস নতুন করে কোনো বাণিজ্য শুল্ক আরোপ না করার প্রস্তাবে সম্মত হন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।

বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটিই ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের প্রথম বৈঠক। ওই বৈঠকে বলা হয়, ১ মার্চের মধ্যে দুই দেশ কোনো চুক্তিতে না পৌঁছালে ২০০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের চীনা পণ্যের ওপর শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে পরে কিছুটা নরম হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, চীনের সঙ্গে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তাই চীনকে কিছুটা সময় দিচ্ছেন তিনি।

চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে নীতিগত পর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনার জন্য ২৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লিথিজার ও অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানচিন বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন। তাঁদের সঙ্গে মার্কিন উপবাণিজ্য প্রতিনিধি জেফরি গ্যারিশ ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা থাকবেন। অন্যদিকে, আগামী ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন চীনা প্রতিনিধিরা। ওই দলে থাকবেন চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়ানডুং। দুই দলের লক্ষ্য এপ্রিলের মধ্যেই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর।

গত মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, দুই দেশ একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর চুক্তি হতে দেখা যায়নি।

এর আগে চীন থেকে ২৫০ বিলিয়ন ডলার আমদানিতে শুল্ক বসিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ১১০ বিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানি শুল্ক বসিয়েছে চীন।