কসবা সীমান্ত হাটে প্রান্তিক নারী উদ্যোক্তারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তহাটে এখন থেকে নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন প্রান্তিক নারী উদ্যোক্তারা। এই হাটে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রির জন্য স্থান দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গতকাল রোববার একটি দোকান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ সহযোগিতায় প্রান্তিক নারীরা হাটে ওই দোকান বসিয়েছেন।

গ্রামীণ প্রান্তিক নারীদের স্বাবলম্বী করতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ সহযোগিতায় ১০ জন প্রান্তিক নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সরকারিভাবে আর্থিক অনুদান, কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নকশিকাঁথা, হাতে তৈরি দেয়ালিকা, মেয়ে ও ছোট শিশুদের কাপড় এবং বিভিন্ন খেলনার জিনিস তৈরি করে হাটে বিক্রি করবেন।

হাটের নারী উদ্যোক্তাদের আলাদা দোকানটির উদ্বোধন করেছেন সীমান্ত হাট বাংলাদেশের পক্ষে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিসুল হক ভূইয়া, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিনা ইসলাম, কসবা উপজেলা পরিষদের সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান শাহিন সুলতানা, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা রুবা, উপজেলা সহকারী পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা নাছিমা সুলতানা প্রমুখ।

কসবা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা বলেন, বর্তমান সরকার গ্রামীণ ও প্রান্তিক নারীদের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১০ জন প্রান্তিক নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করতে মূলধন দেওয়া হয়েছে। মূলধন মজুত রেখে লভ্যাংশ পুরোটাই তাঁরা নিয়ে যাবেন।

কসবার ইউএনও হাসিনা ইসলাম বলেন, নারীরা একধাপ এগিয়ে রয়েছেন। প্রান্তিক নারীদের স্বাবলম্বী করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।