ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ব্যাকআপ দিচ্ছে সামিট কমিউনিকেশনস

বাংলাদেশের টেলিকম অবকাঠামো খাতে নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি), ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) ও ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) হিসেবে এক নম্বর প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড (এসসিএল) সাবমেরিন কেবল (এসএমডব্লিউ ৪) মেইনটেন্যান্স চলাকালে ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ব্যাকআপ প্রদান করছে।

২০ এপ্রিল এসএমডব্লিউ ৪ কেবলটিকে পরিকল্পিতভাবে মেইনটেন্যান্স শুরু করছে এসএমডব্লিউ ৪ কনসোর্টিয়াম। যার ফলে দেশে সমগ্র এসএমডব্লিউ ৪ কেবল সিস্টেমে বিভ্রাট তৈরি শুরু হয়েছে। এটি ১ মে শেষ হওয়ার কথা। সারা দেশে এই ১২ দিন প্রায় ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ কমে যাবে। এ কারণে ইন্টারনেট সেবার গতিও কমে যাওয়া শুরু হয়েছে। তবে আইটিসি, এসএমডব্লিউ ৪, এসএমডব্লিউ ৫ ও ঝামেলাহীন নেটওয়ার্কের জন্য আরও কিছু পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথের মাধ্যমে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড তার নেটওয়ার্ককে এমনভাবে প্রস্তুত করেছে, যাতে এসসিএলের গ্রাহকদের (৩৫০ জিবিপিএসেও বেশি) এই ভোগান্তির মধ্যে পড়তে না হয়।

এই ধরনের জাতীয় সংকটের সময় এসসিএলের আইটিসি, ব্যাকআপ প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে এসসিএলের এনটিটিএন, শুধু এসসিএলের আইআইজির জন্যই এসএমডব্লিউ ৫-এর সর্বোচ্চ ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ প্রদান করছে, তা নয়, বরং দেশে বাকি আইআইজিগুলোকেও সেবা প্রদান করছে। যেটি দেশের এই মেইনটেন্যান্স সময়ে এসএমডব্লিউ ৫ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করছে। সর্বোপরি দেশের সুবিধার জন্য এই দুর্যোগ পরিস্থিতির সময় এসসিএল পূর্ণ সক্ষমতার সঙ্গে ব্যাকআপ দিতে প্রস্তুত।

সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের এমডি ও সিইও মো. আরিফ আল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে এসএমডব্লিউ ৪ সি কেবল বিভিন্ন ধরনের মেইনটেন্যান্স কার্যক্রমের সঙ্গে পরীক্ষণবিভ্রাটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবু পরিকল্পিত এই রক্ষণাবেক্ষণ বা বিভ্রাটের সময় এসসিএল গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করেছে, বিশেষ করে এসসিএল আইটিসি কাজ শুরু করার পর। এবারও তার ভিন্নতা হচ্ছে না। আমরা গ্রাহকদের জন্য শতভাগ প্রাপ্যতার মাধ্যমে সেরা সংযোগ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিকশিত হতে এবং দেশকে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

সর্বোচ্চসংখ্যক আপসিট্রম কানেকটিভিটি, অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট, অভিজ্ঞ দল ও অসাধারণ মানের সেবার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম আইটিসি অপারেটর হিসেবে সামিট তার সব ব্যবসায়িক অংশীদারের জন্য ঝামেলাহীন নিরাপদ সেবা নিশ্চিত করতে সেরা কানেকটিভিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের আইটিসি নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে বিভিন্ন টেরেস্ট্রিয়াল কেবল পথ রয়েছে, যা বিভিন্ন সাবমেরিন কেবল সিস্টেম, যেমন: আইএমইডব্লিউই, টিজিএন-ইএ, টিআইসি, এসএমডাব্লিউ ৪, আই ২ আই ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে একাধিকভাবে সংযুক্ত।

দেশজুড়ে সামিট এনটিটিএন ৪৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি ফাইবার স্থাপন করেছে। সব মোবাইল অপারেটর, আইআইজি ও আইএসপিকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ চাহিদার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি সরবরাহ করছে সামিট আইআইজি। বিশ্বব্যাপী ব্যান্ডউইথ আমদানি করে একটি অত্যাধুনিক শক্তশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করছে আইটিসি।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিএসসিসিএল (এসএমডাব্লিউ ৪ ও ৫) থেকে এবং টেরেস্ট্রিয়াল কেবলের মাধ্যমে ভারত থেকে ইন্টারনেটের আপস্ট্রিম মেনটেইন করে। বর্তমানে এসএমডাব্লিউ ৪, এসএমডাব্লিউ ৫ ও আইটিসির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রায় ১ দশমিক ১ টিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হয়। এসসিএল উভয় আইএলডিসি সিস্টেমগুলো (সাবমেরিন ও টেরেস্ট্রিয়ালের মাধ্যমে) থেকে ব্যান্ডউইথ সংগ্রহ করেছে। এটি সম্মানিত গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশের ব্যান্ডউইথ চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করে থাকে, যা কিনা ৩৫০ জিবিপিএসেরও বেশি। বাংলাদেশের (কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও বেনাপোল) সম্ভাব্য গেটওয়ে থেকে ব্যালান্সড ব্যান্ডউইথ মেনটেইন করার মাধ্যমে এসসিএল নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। তাই এটি দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত।