নিউজপ্রিন্টের ভ্যাট অব্যাহতির দাবি

দেশের সংবাদপত্রশিল্প এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে আগামী ২০১৯–২০ অর্থবছরের বাজেটে কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড় চেয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৪০তম পরামর্শক কমিটির সভায় নোয়াবের সভাপতি ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বেশ কয়েকটি বাজেট
প্রস্তাব তুলে ধরেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল মঙ্গলবার যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে এনবিআর ও এফবিসিসিআই। নোয়াবের লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়, সংবাদপত্রের ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ভালো নয়। এটি প্রায় রুগ্‌ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে।

২০১৪ সালে সংবাদপত্রকে সেবা শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হলেও বিশেষ সুবিধা মিলছে না উল্লেখ করে নোয়াব জানায়, নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে এখন ৫ শতাংশ শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও অন্যান্য খরচসহ মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩১ শতাংশ।

নোয়াব সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ভ্যাট আইনে এ খাত ভ্যাটমুক্ত হলেও বাস্তবে কাস্টম প্রসিডিউর কোডের (সিপিসি) আওতায় নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হচ্ছে। তাই তিনি সংবাদপত্রের জন্য নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ভ্যাট তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। নোয়াব সভাপতি বলেন, সংবাদপত্রশিল্পের উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর উৎসে কর ৪ শতাংশ মিলে মোট কর ৯ শতাংশ। অথচ অধিকাংশ সংবাদপত্রের ৯ শতাংশ লাভই থাকে না। তাই বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর উৎসে কর ৪ থেকে কমিয়ে ২ ও কাঁচামালের ওপর শূন্য শতাংশ করা উচিত।

সংবাদপত্রশিল্পের করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ। নোয়াব সভাপতি বলেন, এটা একদমই অগ্রহণযোগ্য। কর ১০–১২ শতাংশ হলে সহায়ক ও যুক্তিপূর্ণ হয়।