ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নতুন নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মাদ মুসা

ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক অংশ ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নতুন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন মুহাম্মাদ মুসা। ছবি: সংগৃহীত
ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক অংশ ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নতুন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন মুহাম্মাদ মুসা। ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক অংশ ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নতুন নির্বাহী পরিচালক হিসাবে যোগ দিয়েছেন মুহাম্মাদ মুসা। ১ মে তাঁর নিয়োগ কার্যকর হয়েছে। ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে তিনি ফারুক আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। ফারুক ব্র্যাক বাংলাদেশ ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালে দীর্ঘ ১৭ বছর দায়িত্ব পালনের পর অবসর নিয়েছেন। ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বাইরে এশিয়া ও আফ্রিকার ১১টি দেশে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।

ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক উন্নয়ন এবং মানবিক সংকট মোকাবিলায় কর্মসূচি পরিচালনায় মুসার রয়েছে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা। নতুন দায়িত্ব গ্রহণের আগে মুসা ২০১৫ সাল থেকে ব্র্যাক বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে দীর্ঘ ৩২ বছর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার ইন্টারন্যাশনালের হয়ে আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের অন্তত ৭টি দেশে কাজ করেছেন।

২০১৫ সালে ব্র্যাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মুহাম্মাদ মুসা দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্য-বিমোচন বহুমাত্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত রাখেন। তাঁর নেতৃত্বে ব্র্যাক ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সংকট মোকাবিলা কর্মসূচির সূচনা করে। মুসা যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর (মাস্টার ইন পাবলিক হেলথ-এমপিএইচ) এবং নেদারল্যান্ডস ইউনিভার্সিটিজ ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট থেকে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা লাভ করেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।

মুহাম্মাদ মুসা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘নতুন এই দায়িত্বভার পেয়ে আমি গভীরভাবে আনন্দিত। ব্র্যাক সবার জন্য সমতাপূর্ণ বিশ্ব সৃষ্টিতে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন এই দায়িত্ব আমাকে বিশ্বের ১১টি দেশে কর্মরত ব্র্যাকের মেধাবী কর্মিবাহিনী এবং সহযোগী ও সমর্থকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে একযোগে কাজ করার সুযোগ এনে দেবে। ব্র্যাকের উন্নয়ন কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রসারিত করার লক্ষ্যে ব্র্যাকের কর্মিবাহিনী ইতিমধ্যে এক দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ী ভিত্তি প্রস্তুত করে দিয়েছে। সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আগামী দিনগুলোতে ব্র্যাকের বৈশ্বিক কার্যক্রমকে আমরা আরও প্রসারিত ও শক্তিশালী করে তুলতে পারব বলে আমি আশাবাদী।’