ব্যবহৃত ডেনিমে নতুন কাপড়

দুই দিনের বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো গতকাল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের পরই নিবন্ধিত দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে ঢুঁ দেন। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায়।  ছবি: প্রথম আলো
দুই দিনের বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো গতকাল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের পরই নিবন্ধিত দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে ঢুঁ দেন। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায়। ছবি: প্রথম আলো
>

• ব্যবহৃত ডেনিম প্যান্ট, শার্ট বা জ্যাকেট-কোনো কিছুই আর ফেলনা নয়
• ১০ শতাংশ পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে করা

ব্যবহৃত ডেনিম প্যান্ট, শার্ট বা জ্যাকেট—কোনো কিছুই আর ফেলনা নয়। ব্যবহৃত কাপড় দিয়েই নতুন ডেনিম উৎপাদনে ঝুঁকছে অনেক বিদেশি কোম্পানি। দেশি প্রতিষ্ঠানও পিছিয়ে নেই। ফলে বৈশ্বিকভাবে তুলা উৎপাদনের ওপর চাপ কমবে। পানি সাশ্রয় হবে। সব মিলিয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে।

দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোতে অংশ নেওয়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এমনটাই জানালেন। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রদর্শনীটি শুরু হয়েছে। এবারের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ১১টি দেশের ৬৩টি ডেনিম কাপড় ও পোশাক এবং সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে।

আম্বার ডেনিম তুলা ছাড়া অন্যান্য কৃত্রিম উপকরণের পুনর্ব্যবহার ও ব্যবহৃত ডেনিম দিয়ে রিসাইকেল ডেনিম কাপড় উৎপাদন করছে। প্রতিষ্ঠানটি মাসে ৩৫ লাখ গজ ডেনিম উৎপাদন করছে। তার মধ্যে ১০ শতাংশ পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে করা।

আম্বার ডেনিমের পরিচালক এম এস হাসান বলেন, পরিবেশসম্মত হলেও রিসাইকেল করা ডেনিম কাপড়ের দাম সাধারণ ডেনিমের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। এইচঅ্যান্ডএম, সিঅ্যান্ডএ, এমঅ্যান্ডএসসহ কিছু ব্র্যান্ড এসব কাপড় কিনলেও অন্যরা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে ক্রেতারা বিষয়টি নিয়ে সচেতন হলে চাহিদা আরও বাড়বে।

ডেনিম এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বসবাস করছি, যেখানে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক উৎপাদন করা হচ্ছে, যা পুনর্ব্যবহার ও পুনরুৎপাদনের কাজে লাগানো সম্ভব। সে জন্যই বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছি আমরা।’

এদিকে ডেনিম এক্সপোর পাশাপাশি দ্বিতীয়বারের মতো দিনব্যাপী ফ্যাশনোলজি সামিটের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ। এতে পোশাক ও বস্ত্র খাতের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাঁচটি অধিবেশন হয়েছে। সেখানে ১৫টি দেশের ৪১ জন বিশেষজ্ঞ বক্তব্য দেন। তা ছাড়া ১৮টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট পোশাক প্রদর্শন করে। সব শেষে স্মার্ট পোশাকের ফ্যাশন শো হয়েছে। সম্মেলনে দেশীয় পোশাক কারখানা ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের এদেশীয় কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।