৩৮ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস শুরু, ক্ষয়ক্ষতি হয়নি

চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে টানা ৩৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা দুইটা থেকে ব্যবসায়ীরা আমদানি পণ্য খালাস শুরু করেন। তবে বন্দর জেটিতে এখন কোনো জাহাজ না থাকায় জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো শুরু হয়নি।

বন্দর সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালের জোয়ারে জেটি থেকে সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ হয়ে যায়। তবে বন্দর চত্বর থেকে ট্রাকে বা কাভার্ড ভ্যানে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ হয় ওই দিন রাত ১২টায়। জাহাজ, জেটি, পণ্য ও যন্ত্রপাতি সুরক্ষার জন্য এসব পদক্ষেপ নিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ফণীর প্রভাব কেটে যাওয়ায় আজ দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরে বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে। এরপরই চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব সতর্কতা সংকেত ‘অ্যালার্ট-৩’ প্রত্যাহার করা হয়। এরপরই ধীরে ধীরে বন্দরের কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ আজ বেলা তিনটায় প্রথম আলোকে বলেন, ফণীর প্রভাবে বন্দরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ফণীর প্রভাব কেটে যাওয়ার পর দুপুর দুইটা থেকে পণ্য খালাসসহ বন্দরের পরিচালন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাতের জোয়ারে জেটিতে জাহাজ ভিড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। জেটিতে জাহাজ ভিড়ানোর পর জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কার্যক্রমও শুরু হবে।
বন্দরের তথ্যে দেখা যায়, বন্দরে এখন আমদানি পণ্য নিয়ে আসা সমুদ্রগামী জাহাজ রয়েছে ৮৮টি। এসব জাহাজের আকারভেদে জেটি ও বহির্নোঙরে পণ্য খালাস হয়। ছোট আকারের সমুদ্রগামী জাহাজগুলো আজ রাতে জেটিতে ভিড়ানোর পর পণ্য খালাস শুরু হবে। আর বড় জাহাজগুলো থেকে সাগরে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে পণ্য খালাস হয়। তবে সাগর উত্তাল থাকায় এসব বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়নি। সাগরে কোনো লাইটার জাহাজ যেতে না পারায় পণ্য খালাস শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডেলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিওএ) এর চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুজ্জামান।