বাজেটে প্রত্যাশা: সব দাবি ভ্যাট নিয়ে

>

ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে বার্ষিক বিক্রির ভিত্তিতে ভ্যাটের হার নির্দিষ্ট করার প্রস্তাব দিয়েছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

ছোট, বড় ও মাঝারি দেশীয় খাবারের দোকান বা রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের হার কমানোর পাশাপাশি ভিন্ন হার করার দাবি করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। তারা বলছে, এমনটি করা হলে ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ কমবে না, উল্টো বাড়বে।

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) নয়টি প্রস্তাব দিয়েছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, যার সব কটি ভ্যাটসংক্রান্ত। সমিতির পক্ষ থেকে ছোট-বড়, এসি, নন-এসি সব রেস্তোরাঁর ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে বার্ষিক বিক্রির ভিত্তিতে ভ্যাটের হার নির্দিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সারা দেশে ৩০ হাজারের বেশি রেস্তোরাঁ আছে। সেখানে ছয় লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। তবে সংখ্যা ৩০ হাজার হলেও ১০ হাজারের বেশি রেস্তোরাঁ ভ্যাট দেয় না—এমন তথ্যই দিয়েছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

যেসব রেস্তোরাঁর বার্ষিক বিক্রি ৩ কোটি টাকার নিচে, তাদের ভ্যাট হার ৩ শতাংশ, বার্ষিক বিক্রি ৩ থেকে ৬ কোটি টাকা হলে ভ্যাট ৬ শতাংশ এবং বার্ষিক বিক্রি ৬ থেকে ১০ কোটি টাকা হলে ভ্যাট হার ১০ শতাংশ করার দাবি করেছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। বর্তমানে সব রেস্তোরাঁকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়।

রেস্তোরাঁর পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু অভিজাত মিষ্টান্ন দোকান ছাড়া সাধারণ দই-মিষ্টির দোকানেও একইভাবে বার্ষিক বিক্রির ওপর ৩, ৬ ও ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

ভ্যাট হার কমানোর বিষয়ে সমিতির যুক্তি, দেশীয় খাবারের রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত অধিকাংশই কৃষিপণ্য। সেসব পণ্যে ভ্যাট নেই। বেশ কিছু পণ্য ভ্যাট পরিশোধ করেই বাজারে আসে। আবার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলের সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত থাকে। কিন্তু নানা কারণে দেশীয় রেস্তোরাঁর মালিকেরা রেয়াত নিতে পারেন না। তাই দেশীয় খাবারের রেস্তোরাঁয় রেয়াতের হার স্থির করে দেওয়া হোক।

এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি দেশীয় রেস্তোরাঁ ও গ্রামীণ মিষ্টির দোকানে ইসিআর মেশিন বাধ্যতামূলক না করার দাবি করেছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। তারা বলছে, দেশীয় রেস্তোরাঁ ও গ্রামীণ মিষ্টির দোকানের মালিকেরা অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত। দক্ষ অপারেটর ছাড়া তাঁদের পক্ষে ইসিআর মেশিন চালানো সম্ভব না।