পঞ্চগড়ে কাঁচা চা-পাতার নতুন মূল্য কেজিপ্রতি ২৪ টাকা নির্ধারণ

পঞ্চগড়ের এক গ্রামে চা খেতে এক কৃষক। প্রথম আলো ফাইল ছবি
পঞ্চগড়ের এক গ্রামে চা খেতে এক কৃষক। প্রথম আলো ফাইল ছবি

পঞ্চগড়ে উৎপাদিত প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ২৪ টাকা করে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ক্ষুদ্র চা-চাষি, চা-বাগান, চা-কারখানার মালিক ও চা বোর্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের এক সভায় এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

আজ বুধবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে কাঁচা চা-পাতার মূল্য নির্ধারণ কমিটির সভায় এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রতি কেজি কাঁচা চা-পাতা ২৪ টাকা দরে কারখানার মালিকেরা কিনবেন বলে নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত এই মূল্য চট্টগ্রামে তৈরি চায়ের (মেড টি) নিলাম বাজারে ১৫টি নিলাম পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত তৈরি চায়ের তিনটি নিলাম হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে আবারও সভার মাধ্যমে কাঁচা চা-পাতার মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে কাঁচা চা-পাতার মূল্য নির্ধারণ কমিটির সভায় প্রতি কেজি চায়ের মূল্য ২৪ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে এ বছর মৌসুমের শুরুতে কারখানার মালিকেরা চাষিদের কাছে প্রতি কেজি কাঁচা চা-পাতা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা থেকে ৩৮ টাকা পর্যন্ত কিনেছিলেন। এদিকে সম্প্রতি নিলাম বাজারে পঞ্চগড়ের তৈরি চায়ের মূল্য কমে যাওয়ার কথা বলে গত ২৮ এপ্রিল থেকে কারখানাগুলো চাষিদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূলে (২৪ টাকা ৫০ পয়সা) চা-পাতা না কিনে ২০ টাকা দরে চা-পাতা কেনা শুরু করে। এতে ক্ষুদ্র চা-চাষিরা সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন আন্দোলনের ডাক দেন। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চায়ের মূল্য নির্ধারণের জন্য ১৫ মে বিকেলে সভা আহ্বান করা হয়।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এহেতেশাম রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম আল মামুন, বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হকসহ বিভিন্ন চা কারখানার মালিক ও ক্ষুদ্র চা-চাষিদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।