'২০ রোজার মধ্যে পাটকল শ্রমিকদের মজুরি দিন'

রাষ্ট্রমালিকানাধীন সব পাটকল শ্রমিকের বকেয়া ২০ রমজান তথা ২৬ মের মধ্যে পরিশোধের দাবি জানিয়েছে শ্রমজীবী ও শিল্প রক্ষা আন্দোলন কমিটি। মতিঝিল বলাকা চত্বর, ঢাকা, ১৯ মে। ছবি: হাসান রাজা
রাষ্ট্রমালিকানাধীন সব পাটকল শ্রমিকের বকেয়া ২০ রমজান তথা ২৬ মের মধ্যে পরিশোধের দাবি জানিয়েছে শ্রমজীবী ও শিল্প রক্ষা আন্দোলন কমিটি। মতিঝিল বলাকা চত্বর, ঢাকা, ১৯ মে। ছবি: হাসান রাজা

রাষ্ট্রমালিকানাধীন সব পাটকল শ্রমিকের বকেয়া ২০ রমজান তথা ২৬ মের মধ্যে পরিশোধের দাবি জানিয়েছে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিলে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

‘শ্রমজীবী ও শিল্প রক্ষা আন্দোলন কমিটি’ এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনটির আহ্বায়ক মনজুরুল আহসান খান বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে দেশের পাটশিল্প ধ্বংসের চেষ্টা চলছে। পাটকল বন্ধ করা ও বেসরকারিকরণের নয়া উদারনীতিবাদী প্রকল্প বহু আগে থেকে চলমান আছে। দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকেরা ১০ থেকে ১৩ সপ্তাহ ধরে মজুরি পাচ্ছে না। দীর্ঘ সময় মজুরি না পেয়ে শ্রমিকেরা দুর্দশাগ্রস্ত। অথচ এই সংকট নিরসনে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’

মনজুরুল আহসান খান আরও বলেন, পাটশিল্পের সঙ্গে শ্রমিক, কৃষক, জাতীয় স্বার্থ নিবিড়ভাবে জড়িত। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত পাটশিল্প ধ্বংসের সব চক্রান্ত এ দেশের মানুষ প্রতিহত করবে। শ্রমিকদের যদি রাস্তায় ঈদ করতে হয় তাহলে তাঁরা কাউকেই ঈদ করতে দেবে না। তিনি ২০ রমজানের পূর্বেই শ্রমিকদের বকেয়া শোধ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে পাটকল শ্রমিকেরা ও তাঁদের পরিবার-স্বজনেরা যদি ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু থাকবে না।

শ্রমজীবী ও শিল্প রক্ষা আন্দোলন কমিটির নেতা হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, পাটশিল্প খাত দেশের এক সময়ের প্রধান শিল্প। পরিকল্পিতভাবে অবহেলা করায় এই শিল্প আজ রুগ্‌ণ রূপ ধারণ করেছে। পাটকল শ্রমিকদের সব বকেয়া পরিশোধ না করা হলে দেশের বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে আন্দোলনরত পাটকল শ্রমিকদের সব বকেয়া মজুরি ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ এবং আন্দোলনরত শ্রমিকদের ৯ দফা অবিলম্বে মেনে নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আবুল কাদের হাওলাদার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার প্রমুখ।