ট্রাম্পকে চীনের সঙ্গে টক্করে মানা করল ১৭৩ কোম্পানি

বিশ্বের প্রসিদ্ধ কয়েকটি জুতা কোম্পানি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে। তা না হলে এটা ভোক্তাদের জন্য ‘বিপর্যয়’ বয়ে আনবে বলে সতর্ক করেছে তারা।

আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, নাইকি, অ্যাডিডাসসহ ১৭৩টি কোম্পানির সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আমদানির ওপর অসামঞ্জস্য হারে ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করার বিষয়টি ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত কর্মজীবী মানুষের ওপর প্রভাব ফেলবে।

তারা আরও সতর্ক করেছে যে এই উচ্চ শুল্কহার ভবিষ্যতের কিছু ব্যবসার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

চিঠিতে কোম্পানিগুলো বলেছে, এই বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধের সময় হয়েছে এখন।

এক সপ্তাহ আগে ওয়াশিংটন ও বেইজিং বাণিজ্যসংক্রান্ত আলোচনায় সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চীনা পণ্য আমদানির ওপর ১০ থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেন।

প্রতিশোধ হিসেবে চীনও একই কাজ করতে যাচ্ছে। দেশটিতে আমদানি হওয়া ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর তারা শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। আগামী ১ জুন থেকে তা কার্যকর হতে পারে।

চিঠিতে সই করা জুতা কোম্পানির মধ্যে ক্লার্কস, ডক্টর মার্টেনস ও কনভার্স অভিযোগ করেছে, এসব পণ্যের ওপর গড়ে মার্কিন শুল্ক ১১ দশমিক ৩ শতাংশ আরোপ করা হলেও কোনো কোনোটির ক্ষেত্রে শুল্কের হার ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ওই কোম্পানিগুলো বলেছে, ‘২৫ শতাংশ আরও শুল্ক আরোপ করার মানে হলো কোনো কোনো কর্মজীবী মার্কিন পরিবারকে তাদের জুতার ওপর প্রায় শতভাগ শুল্ক দিতে হবে। এটা একবারেই অসম্ভব।’

এ মাসে শুল্ক বৃদ্ধির পর ট্রাম্প কোম্পানিগুলোকে বলেছিলেন, তাদের উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরের মাধ্যমে তারা খরচ কমাতে পারে।

চীনে উৎপাদন করা থেকে সরে আসার এ প্রস্তাব প্রসঙ্গে জুতা প্রস্তুতকারক ও খুচরা বিক্রেতারা বলেছেন, জুতাশিল্প বড় বিনিয়োগের জায়গা। উৎস তৈরির সিদ্ধান্তের জন্য বছরের পর বছর ধরে পরিকল্পনা করতে হয়। এসব পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কোম্পানিগুলো হুট করে কারখানা স্থানান্তর করতে পারে না।

আগামী মাসে জাপানে অনুষ্ঠিতব্য জি–২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য বিষয়ে আবারও আলোচনার কথা রয়েছে।

ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে চাপে ফেলে নিজ দেশের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ‘বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীর’ হাত থেকে রক্ষা করতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। চীনের টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।