চীনের দরজা এখনো খোলা

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই বলেছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য বেইজিং প্রস্তুত। এর আগে চীনে যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস লবি জানিয়েছে, বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে তাদের প্রায় অর্ধেক সদস্য অশুল্ক বাধা প্রতিহত করছে।

গতকাল মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আলোচনার জন্য বেইজিংয়ের দরজা এখনো উন্মুক্ত। তিনি বলেন, ‘চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি উপসংহার পৌঁছানোর জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের দরজা এখনো খোলা আছে।’ এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যবিরোধের অবসান ঘটাতে যে চুক্তি আলোচনা চলছিল, তাতে ঘন ঘন ‘মত পরিবর্তন’ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে দায়ী করেন।

১০ মের পর চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো বাণিজ্য আলোচনা হয়নি। ওই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া বাণিজ্যচুক্তির খসড়ায় চীন উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে। পরে নতুন করে ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে ওই সাক্ষাৎকারে চুই তিয়ানকাই বলেন, ‘এটা একদম পরিষ্কার যে যুক্তরাষ্ট্রই এক রাতের মধ্যে তার মত পরিবর্তন করেছে। এবং প্রায় হয়ে যাওয়া একটি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে। আমরা যা চাই, তাতে আমরা এখনো অটল আছি। যুক্তরাষ্ট্রই প্রায়ই তার মন পরিবর্তন করে।’

দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা আরও বেড়ে যায় যখন গত সপ্তাহে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্য করতে হলে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স নিতে হবে। এরপর গুগল জানায়, হুয়াওয়ের অ্যান্ড্রয়েড অপারেট সিস্টেমে কিছু সেবার আর কোনো আপডেট ভার্সন দেবে না তারা। এ ছাড়া নতুন হুয়াওয়ে স্মার্টফোনে গুগলের ইউটিউব, গুগল ম্যাপসের মতো অ্যাপগুলো আর থাকবে না। এরপর আলোচনায় আসে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা নজরদারি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চীনের হিকভিশন ডিজিটাল টেকনোলজিকেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রযুক্তি কিনতে নির্দিষ্ট সীমার মুখে পড়তে হবে।

এ বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সবাই জানে, হুয়াওয়ে বেসরকারি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। এটা সাধারণ চীনা বেসরকারি কোম্পানির মতোই। তাই হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য।’