২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান

২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানো হবে। বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে। এ ছাড়া যুবকদের মধ্যে ব্যবসা উদ্যোগ সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা চলতি অর্থ বছরের বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী লিখিত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, একদিকে শ্রমবাজারে বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তির আগমন, অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে শ্রমিকের চাহিদা কমে যাওয়ার বিষয়টি সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে এবং এর সমাধানে নানাবিধ পদক্ষেপ নিচ্ছে। সরকার শিল্প খাতে কর্ম সৃজনের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ আধুনিকায়ন, শ্রমিকের সুরক্ষা জোরদার করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিক হারে কর্মে প্রবেশ উপযোগী আইন-বিধি, নীতি–কৌশল সংস্কারের জন্য তিন বছর মেয়াদে কার্যক্রম শুরু করেছে।

চলতি অর্থ বছরে ১০টি আইন–বিধি, নীতি–কৌশল প্রণয়ন অথবা সংস্কার শেষ হয়েছে। আগামী দুই বছরে অবশিষ্ট সংস্কার কাজ শেষ করে ক্রমবর্ধমান জনশক্তির জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানো হবে।

বাজেট বক্তৃতায় আরও বলা হয়, বেকার যুবদের কর্মসংস্থান ও আত্ম কর্মসংস্থানে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে সারা দেশে ১১১টি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং উপজেলা পর্যায়ে ৪৯৮টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। যুবকদের মধ্যে সকল প্রকার ব্যবসা উদ্যোগ সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা চলতি অর্থ বছরে বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে।