আদার দাম দ্বিগুণ কেন, প্রশ্ন সচিবের

আদা
আদা

আদার অস্বাভাবিক দাম নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর প্রতি খেপলেন বাণিজ্যসচিব মো. মফিজুল ইসলাম। তিনি তাঁদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘৮০ টাকার আদা ১৬০ টাকা হলো কেন? মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে কেন এই আদার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হলো?’

সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি-সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে বাণিজ্যসচিব এ প্রশ্ন তোলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাণিজ্যসচিব মফিজুল ইসলামের পাশাপাশি বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসীর, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বাবুবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আড়তদার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আদা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমি গতকালও (সোমবার) এক কেজি আদা ১৬০ টাকায় কিনেছি। আগামী কোরবানির ঈদ আসতে আসতে এটা আরও বেড়ে যাবে। কিন্তু, কেন এটা হবে? এটা হতে দেওয়া যাবে না।’

বাবুবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তখন বলেন, যেসব দেশ থেকে আদা আমদানি করা হয় সে সব দেশে এবার উৎপাদন কম হয়েছে। আমদানি করা হয় সাধারণত ভারত, চীন ও মিয়ানমার থেকে। ফলে আদার দাম এবার বেশিই থাকবে।

সচিব মফিজুল ইসলাম তখন বলেন, একসঙ্গে সব দেশে উৎপাদন কম হয়েছে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পর্যাপ্ত আদা আমদানি করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই আদার দাম না বাড়ে।
জবাবে আনোয়ার হোসেন আবার বলেন, মিয়ানমার থেকে দুটি পথে আদা আমদানি করা হয়। একটা পথ চট্টগ্রাম বন্দর, আরেকটা টেকনাফ। টেকনাফ দিয়ে সরাসরি আমদানি করা যায় না। কারণ, পথটি মিয়ানমারের লোকেরা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে। এ পথ দিয়ে কয়েক ধাপে পয়সা খরচ করে আদা আনতে হয়। ফলে আদার দাম বেশি পড়ে যায়।

চাহিদা অনুযায়ী আদা আমদানির পরামর্শ দিয়ে সচিব তখন বলেন, ‘যে পরিমাণ আদার দরকার, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করুন। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দেব।’