বাজেট পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব মোবাইল অপারেটরদের

বাজেট
বাজেট

প্রস্তাবিত বাজেট পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যামটবসহ গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটির দাবি, নতুন কর আরোপ করায় মোবাইল খাত থেকে সরকারের কোষাগারে বছরে যাবে অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ চাপের বড় অংশই গ্রাহকদের ওপর চাপবে।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যামটবের মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন, বর্তমান ব্যবহৃত হচ্ছে, এমন ৬৫ শতাংশ ফোনসেট পরিবর্তন করতে হবে। তাদের নতুন করে সিমও নিতে হবে। নতুন কর আরোপের ফলে ফোনসেটের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা ধারণাই করা যাচ্ছে না। নতুন কর আরোপের ফলে অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা কর দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যেসব খাত বেশি ক্ষতিকর অথবা বেশি মুনাফা করে, সাধারণত সে খাতে বেশি কর আরোপ করা হয়। আর আমাদের এখানে পুরো উল্টো। নতুন বাজেটের ফলে করের হার বেড়ে হবে ৫০ শতাংশ। এভাবে কি ব্যবসা করা সম্ভব? সিটিসেল, এয়ারটেল তো ব্যবসা করতে পারেনি। আমাদের যে পরিমাণ জরিমানা করা হয়, অন্য খাতে তা হয় না।’

গ্রাহকদের ওপর কী পরিমাণ চাপ পড়বে, এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্পূরক শুল্ক ও করের পুরোটাই গ্রাহককে দিতে হবে। অর্থাৎ ২৭ টাকা ৫০ পয়সা যাবে গ্রাহকের ওপর দিয়ে। নতুন বাজেটে টেলিকম খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পুরো খাত সমস্যায় পড়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে আগে ৮২ টাকা ১৩ পয়সার কথা বলা যেত। প্রস্তাবিত বাজেটের কারণে একই পরিমাণ রিচার্জে এখন ৭৮ টাকা ৪৩ পয়সার কথা বলা যাবে। আর ১০০ টাকার ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করতে এখন রিচার্জ করতে হচ্ছে ১১৬ টাকা ৫০ পয়সা, আগে যা ছিল ১১১ টাকা ২৫ পয়সা। একইভাবে নতুন সিম নিতে ১০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা কর দিতে হবে। আর মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার কর দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। মোবাইল আমদানিতে কর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স পরিচালক হোসেন সাদাত, বাংলালিংকের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান অফিসার তাইমুর রহমান, টেলিটকের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান সাইফুর রহমান খান।