যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবি বিটিএমএর

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বস্ত্রকলের যন্ত্রপাতি, কিছু কাঁচামাল ও উপকরণ আমদানির ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম কর কর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত ও বাধাগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ।

বাজেট–পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এই দাবি করেন। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল আজ বুধবার আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাবেক সহসভাপতি হোসেন মেহমুদ।

বিটিএমএর সভাপতি বলেন, ‘বস্ত্রকলের যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। আমরা মনে করি, এটি একধরনের প্রণোদনা। সরকার শিল্প খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে চাইছে। কিন্তু বস্ত্রকল যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর অগ্রিম কর ৫ শতাংশ আরোপ করাকে আমরা মনে করি বিনিয়োগকে ব্যয়বহুল ও অলাভজনক করবে। ফলে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত ও বাধাগ্রস্ত হবে। এককথায় বিষয়টি খাজনার চেয়ে বাজনা বেশির মতো।’

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য উৎপাদিত সুতার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এটি প্রত্যাহার করে প্রতি কেজি সুতার ওপর ৪ টাকা ভ্যাট আরোপের দাবি করেছেন বিটিএমএ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা প্রতি কেজি সুতায় তিন টাকা ভ্যাট দিই। ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলে গড়ে প্রতি কেজি সুতার দাম ১৫ থেকে ১৬ টাকা বৃদ্ধি পাবে। ৮০ কাউন্টের সুতায় সর্বোচ্চ বাড়বে সাড়ে ২৩ টাকা। সেটি হলে দেশের প্রান্তিক তাঁতিরা ক্ষতির মুখে পড়বে। এমনকি সুতার বাজার বিদেশিদের দখলে চলে যেতে পারে।’

এ ছাড়া বস্ত্র রপ্তানিতে উৎসে কর বর্তমানের মতো দশমিক ২৫ শতাংশ অব্যাহত রাখা এবং রপ্তানিতে ৩ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি করেছে বিটিএমএ।