গ্রামীণফোনের ছয় মাসে মুনাফা ৯৬০ কোটি টাকা, নতুন গ্রাহক ১৩ লাখ

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে গ্রাহকসংখ্যা।

২০১৯ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় দাঁড়িয়েছে ৭০৯০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে মোট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের কর পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা, যেখানে মুনাফার হার বা মার্জিন সাড়ে ২৬ শতাংশ। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ টাকার কিছু বেশি। প্রতিষ্ঠানটি আলোচ্য সময়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), কর, শুল্ক, মাশুল, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ মাশুল বাবদ ৪ হাজার ৯০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা মোট রাজস্বের ৫৮ শতাংশ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ দিয়েছেন। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা ৩ শতাংশ বেশি। একই সময়ে গ্রামীণফোন ১৬ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক পেয়েছে। গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলি বলেন, চ্যালেঞ্জিং ব্যবসায়িক পরিবেশের মধ্যেও ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোন ভালো করেছে। জুন মাসের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের ৬২ শতাংশ মানুষ গ্রামীণফোনের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।

গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ পরিশোধিত মূলধনের ৯০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৩৮০ কোটি বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ৫৬০টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করেছে এবং পাশাপাশি নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে অর্থ ব্যয় করেছে। গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা ১৬ হাজার ১৭৬টি।