প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ মৎস্য খাত থেকে

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। ছবি: প্রথম আলো

সুস্থ, সবল ও মেধাবী জাতি গঠনে আমিষের (প্রোটিন) গুরুত্ব অপরিসীম। দেশ মৎস্যসম্পদ উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। প্রাণিজ আমিষের চাহিদার শতকরা ৬০ ভাগ জোগান দিচ্ছে মৎস্য খাত। পুষ্টির দিক বিবেচনায় মাছের চেয়ে নিরাপদ আমিষ আর নেই।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গবেষকেরা। আজ শনিবার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্‌যাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে।

শোভাযাত্রা ও মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান। এ সময় গবেষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. জসিমউদ্দিন খান, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন গিয়াস উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুর রউফ।

বক্তারা বলেন, দেশে এখন ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে উন্মুক্ত জলাশয় (নদী, বিল, হাওর) থেকে শতকরা ২৫ ভাগ, বদ্ধ জলাশয় (পুকুর, ডোবা) থেকে ৫৭ ভাগ এবং বাকি অংশ সমুদ্র থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের সমতল ভূমির আট লাখ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়ের বাইরে আর কোনো ফসলি জমি নষ্ট করে মাছ করা ঠিক হবে না। বিদ্যমান নদী ও পুকুরগুলোয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে হবে।

মৎস্য সপ্তাহ উদ্‌যাপন উপলক্ষে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে ব্যানার, রংবেরঙের প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্যাম্পাসের পাশ ঘেঁষে অবস্থিত ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে শেষ হয়। পরে ব্রহ্মপুত্র নদে বিভিন্ন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এ সময় অনুষদটির গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।